চট্টগ্রামের তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার সঙ্গে জড়িত ৫ জনসহ অন্তত ২০ জনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঘটনার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নগরীর পাথরঘাটা মাথার পট্টি, আন্দরকিল্লা, হাজারী গলি এলাকা অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করেছে বলে জানিয়েছে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুল কাদের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ক্রাইম) টিবিএসকে বলেন, “আইনজীবী হত্যা ও আদালত প্রাঙ্গণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের গ্রেফতারে কোতোয়ালী থানার বিভিন্ন এলাকায় রাতভর অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। এসময় ২৭ জন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।”
তিনি আরও জানান, আইনজীবী হত্যার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। আজকে জানাজা শেষে নিহতের পরিবার মামলা করলে, সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
নিহত আইনজীবীর নাম সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩৫)। তিনি জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে রাষ্টদ্রোহ মামলায় সকাল ১১টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরপরই কয়েকশ ইসকন সমর্থক আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা চিন্ময়কে বহনকারী প্রিজন ভ্যান প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন।
তারা চিন্ময়কে বহনকারী প্রিজনভ্যানটি ঘেরাও করে আটকে রাখেন। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলেও তারা পথ অবরোধ করে রাখেন। তারা প্রিজনভ্যানের চাকাও পাংচার করে দেন। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে কয়েকজন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলিফকে আদালতের মূল ফটকের প্রবেশমুখের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের পাশের গলি থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।