যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েকদিনের মাথায় আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে ইসরাইল ও লেবাননের ইরান সমর্থিত সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ইসরাইলের হামলায় লেবাননে আরও ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, সোমবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এতে অন্তত দুজন নিহত হন। পরে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে সতর্কমূলক গুলি ছোড়ে হিজবুল্লাহ। এরপর লেবাননের একাধিক জায়গায় বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এ সময় আরও ৯ লেবানিজ নিহত হন।

এদিকে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে কড়া জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ বলেন, হিজবুল্লাহর এই সতর্কীকরণ গুলির পাল্টা জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে। অন্যদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র।

গাজায় বিধ্বংসী ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের ফলে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত। প্রায় ১৪ মাস পর দুইপক্ষ যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছাতে সম্মত হয়।  কিন্তু নতুন করে ইসরাইলে হামলায় এই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গুর বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।  বৃহত্তর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য যা বড় হুমকি।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হাতে বন্দি ইসরাইলি জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেছেন, জানুয়ারিতে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগে যদি তাদের মুক্তি না দেওয়া হয় তবে নরকের পরিণতি ভোগ করতে বে।

ট্রাম্প গাজায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে মার্কিন সেনাবাহিনীকে সরাসরি জড়িত করার হুমকি দিচ্ছেন কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার করেননি। তবে প্রায় ১৫ মাসের সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইল গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়েছে।