কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন একুশে পদক পাওয়া কিংবদন্তি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী পাপিয়া সরোয়ার। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থার উদ্যোগে পাপিয়া সারোয়ারের মরদেহ শহীদ মিনারে নেয়া হয়। সেখানে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সর্বস্তরের মানুষ।

দীর্ঘ শিল্পী জীবনে অনেকবার যে শহীদ মিনারে এসেছেন ভক্তদের সুরের মুর্ছনায় মাতাতে, সেখানেই আজ নিথর দেহে আসলেন শিল্পী পাপিয়া সরোয়ার। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসে বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা। তাকে শ্রদ্ধা জানান ভক্ত, সহকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ।

এ সময় আগতরা জানান, রবীন্দ্র সঙ্গীতে পাপিয়া সারোয়ারের যে অবদান তা জাতি আজীবন মনে রাখবে। এদিন সকাল ১০টার দিকে তার মরদেহ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়।

শহীদ মিনারে তাকে একে একে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ রবীন্দ্র শিল্পী সংস্থা, পাপিয়া সরোয়ারের নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান গীতিসুধা, স্বনন, সত্যেন সেন শিল্পগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সংগঠন ও বিশিষ্টজনরা।

পাপিয়া সারোয়ারের প্রস্থান দেশের সঙ্গীতাঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে জানান সহকর্মী ও সংগীতজ্ঞরা।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসঙ্গীতের জন্য কোটি দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছেন পাপিয়া সারোয়ার। তাঁর ব্যতিক্রমী গায়কি ও কন্ঠের প্রশংসা ছিল সঙ্গীতাঙ্গনে।

১৯৫২ সালের ২১শে নভেম্বর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন এই গুণি রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্র সংগীতে ছিল ঝোঁক। ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে ভর্তি হন বিশ্ব ভারতীতে।

কালজয়ী গান ‘নাই টেলিফোন, নাইরে পিয়ন’খ্যাত পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০২১ সালে পান একুশে পদক। জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ছায়ানট ও বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে রবীন্দ্র সংগীতের প্রশিক্ষকও ছিলেন।

দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর বৃহস্পতিবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমান পাপিয়া সরোয়ার।