বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। আয়োজন সফল করতে অনুষ্ঠান এলাকায় প্রস্তুতিও প্রায় শেষ করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

সরকারের পক্ষ থেকে গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেয়ার কথা জানানোর পর, বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন ছাত্র ও নাগরিক কমিটির নেতারা। দীর্ঘ আলোচনা শেষে জানানো হয়, আজ ‘মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচি’ পালন করা হবে। সেখানে, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে যোগ দেয়ার আহান জানানো হয়।

মঙ্গলবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নাটোর, নওগা, পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন জেলা থেকে গাড়ি নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় আসতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। তাদের কোনো কোনো দলকে ঘটনাস্থলেই অবস্থান নিতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলেও তাৎক্ষণিক ভাবে অবস্থান নিয়েছেন।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে চলে আলোচনা। এ অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেবে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপরই রাজধানীর বাংলামোটরে জরুরি বৈঠকে বসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টাব্যাপী চলে বৈঠক। পরে সংবাদ সম্মলনে সারজিস আলম, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।