উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি যাবেন ‘লন্ডন ক্লিনিকে’। এর আগে গুলশানের বাসা থেকে বিমানবন্দরের যাত্রাপথে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বিদায় জানান দলের চেয়ারপারসনকে।
ঘড়ির কাটায় তখন রাত ৮টা ২০ মিনিট। সাদা গাড়ীতে চড়ে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বেরিয়ে এলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
নেতাকর্মীদের ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই নেই পুরো এলাকায়। মুর্হূমুর্হূ শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গুলশান দুই। প্রিয় নেত্রীকে একনজর দেখতে উপচে পড়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীদের এই ঢল গুলশান দুই থেকে বনানী, খিলক্ষেত হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত। আবেগ আর ভালোবাসায় প্রিয় নেত্রীকে বিদায় জানাবার জন্য তারা সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন। এসময় তারা আশা প্রকাশ করে বলেন বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে ফিরে এসে আবারও হাল ধরবেন প্রিয় বাংলাদেশের।
প্রায় সাত বছর পর দেখা হতে চলেছে মা ও ছেলের। হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেগম জিয়াকে স্বাগত জানাবেন বড় ছেলে তারেক রহমান। সেখান থেকে ‘লন্ডন ক্লিনিক’ নামে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়া হবে তাকে।
লিভার, হার্ট, কিডনিসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। কাতারের চিকিৎসকরা ছাড়াও খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের ছয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও যাচ্ছেন তার সঙ্গে। যাচ্ছেন ছোট ছেলের স্ত্রী শর্মিলা রহমানসহ বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কয়েকজন।