গাজীপুরের টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৪০ দিন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মিজানুর রহমান (৪০)।

নিহতের বোনজামাই মোছাদ্দেকুল হক জানান, তার বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার মাস্টার পাড়া চন্দ্রখানা গ্রামে। নিহত মিজানুর পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক তিনি।

মোছাদ্দেকুল আরও জানান, জোড় ইজতেমায় অংশ নেয়ার জন্য গ্রাম থেকে গত ১৭ ডিসেম্বর টঙ্গী ময়দানে এসেছিলেন মিজানুর রহমান। ১৭ তারিখ দিবাগত রাতে ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে আহত হন তিনি। মুসল্লিরা তাকে রাতেই টঙ্গী আহাসান উল্লাহ মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখান থেকে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আইসিউতে ভর্তি করা হয় তাকে। ঘটনার দুই দিন পর স্বজনরা খোঁজ পেয়ে হাসপাতালে এসে তাকে দেখতে পান। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রাতে তিনি মারা গেছেন।

টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর ভোরে জোবায়ের ও সাদ অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে তখন তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হন অনেকে। মিজানুরকে নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো।

মিজানুরের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফ আলী। এই প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ১৮ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে টঙ্গী পশ্চিম থানার ইজতেমার মাঠে দুই পক্ষের মারামারিতে মিজানুর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।

ভগ্নিপতি মোসাদ্দেকুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মিজানুর পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। মিজানুর তবলিগ জামাতের কোন পক্ষের, তা তিনি জানেন না। তিনি শুধু জানেন, মিজানুর তাবলিগ জামাতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।