কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানি ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সেখানে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা কিছু ভারতীয় পোস্টে ‘গুলি চালানোর পর’ ভারতীয় সেনাবাহিনী পাল্টা জবাব দিয়েছে।
তাদের দাবি, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ‘কার্যকর জবাব’ দিয়েছে। তবে গোলাগুলিতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেও জানানো হয়েছে।
সূত্রের দাবি, ‘গত রাতে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কিছু জায়গায় ছোট অস্ত্রের গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। কার্যকরভাবে গুলি চালানোর জবাবও দেয়া হয়েছে।’
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যেই এই গুলি বিনিময় ঘটল।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।
এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত ২২ এপ্রিলের হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা দাবি করে ওই ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার কঠোর বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও ‘শক্ত ও স্পষ্ট জবাব’-এর কথা বলেছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে শক্ত জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিবেশী দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে। চলছে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা।