মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী লেবাননের হিজবুল্লাহ অবশেষে ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। শুক্রবার (২০ জুন) সংগঠনটি জানায়, ট্রাম্প যেভাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন, তা পুরো অঞ্চলের জনগণের বিরুদ্ধে এক ধরনের আগ্রাসন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি হামলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির মুখে ইরানের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়ে মুখ খুলেছেন হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ নাঈম কাসেম।
একটি দীর্ঘ বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন, তা শুধু ইরানেরই নয়, বরং পুরো অঞ্চলের জনগণের বিরুদ্ধে এক ধরনের আগ্রাসন।
হিজবুল্লাহ মূলত ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। কিন্তু চলমান সংঘাতে তারা এখন পর্যন্ত সরাসরি জড়ায়নি। গত বছরের ইসরায়েলের সঙ্গে ভয়াবহ যুদ্ধের পর সংগঠনটি উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই তারা এখনও লেবানন সীমান্তেও সক্রিয় হয়নি।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির মুখে ইরানের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়ে মুখ খুলেছেন হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ নাঈম কাসেম।
তিনি একটি দীর্ঘ বিবৃতিতে বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন তা শুধু ইরানেরই নয়, বরং পুরো অঞ্চলের জনগণের বিরুদ্ধে এক ধরনের আগ্রাসন।
কাসেম বলেন, “আমরা হিজবুল্লাহ ও ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বলছি— ইরানের স্বাধীন ও বৈধ অধিকারের পক্ষে এবং আমেরিকা ও তার মিত্র ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা নিরপেক্ষ নই।”
তিনি আরও বলেন, “এই ভয়াবহ মার্কিন-ইসরায়েলি আগ্রাসনের মোকাবিলায় হিজবুল্লাহ যা প্রয়োজন মনে করবে, তাই করবে।”