বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিক সন্দেহে ৪৪৪ জনকে আটক করেছে ভারতের পুলিশ। দেশটির ওডিশা রাজ্যের ঝাড়সুখুদা জেলা থেকে আটক করা হয়েছে তাদেরকে। ইতোমধ্যে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ২৬৫ জনকে অস্থায়ীভাবে নির্মিত সুরভী কল্যাণ মন্দিরে রাখা হয়েছে। অন্য ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে ডায়মন্ড কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজ প্রাঙ্গণে একটি হোল্ডিং সেন্টারে।

ওডিশা রাজ্যে বৈধ নথিপত্র ছাড়া বসবাসকারী ব্যক্তিদের ধরতে বেশ কিছু দিন ধরে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

আটকদের মধ্যে ২৬৫ জনকে অস্থায়ীভাবে সুরভি কল্যাণ পূজা মণ্ডপে রাখা হয়েছে। বাকিদের ঝাড়সুগুদা সাবডিভিশনের ব্ল্যাক ডায়মন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজের চত্বরে স্থাপিত একটি হোল্ডিং সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে।

প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, আটক ব্যক্তিদের অনেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দিনমজুর, রাজমিস্ত্রি বা ফেরিওয়ালার কাজ করতেন। জিজ্ঞাসাবাদ ও নথিপত্র যাচাই-বাছাই শেষে যাদের ভারতে থাকার বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যাবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

এনডিটি জানায়, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ অভিযান শুরু হয়। এটির উদ্দেশ্য ছিল এমন বিদেশিদের শনাক্ত করা, যারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করেছে। ঝাড়সুগুদা জেলায় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি অভিবাসী অবৈধভাবে বসবাস করছেন—এমন অভিযোগের পরই অভিযান চালানো হয়।