মিরপুরের চেনা কন্ডিশনে ফিরে যেন নিজেদের হারানো আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ পাকিস্তান সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল টাইগাররা। এবার ঘরের মাঠে যেন সেই প্রতিশোধই নিতে চায় বাংলাদেশ! সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে পাত্তাই দিল না লিটন দাসের দল। এতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে রইল বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিং করে টাগাররা। বোলারদের দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সে সফরকারীরা অলআউট হয় মাত্র ১১০ রানেই। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বাগতিকরা শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল। তবে ওপেনার পারভেজ ইমনের লড়াকু ফিফটির সুবাদে ২৭ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে লিড নিয়েছে লাল-সবুজের দল।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই আউট হন ওপেনার তানজিদ তামিম। সালমান মির্জার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনি আউট হন ফখর জামানের মুঠোবন্দী হয়ে।
৪ বলে ১ রান করে প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। তিন ব্যাট করতে নেমে ১ রানে আউট হন লিটনও। এতে ৭ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তবে দলের হাল ধরেন পারভেজ হোসেন ইমন এবং তাওহীদ হৃদয়। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তুলেছে টাইগাররা। কিন্তু ফিফটি তুলতে পারেননি হৃদয়, ৩৭ বলে ৩৬ রান করে বোল্ড আউট হন এই টাইগার ব্যাটার। এতে ৮০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন ওপেনার পারভেজ ইমন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন জাকের আলী। শেষ পর্যন্ত জাকেরের ১০ বলে ১৫ রান এবং পারভেজ ইমনের ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৬ রানে ভর করে ৭ উইকেট ও ২৭ বল হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
এর আগে বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন টাইগার বোলাররা। ইনিংসের চতুর্থ বলেই আউট হতে পারতেন পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামান। মেহেদী হাসানকে দ্বিতীয় বলে চার মারা পাকিস্তানি ওপেনার চতুর্থ বলেই ক্যাচ তুলেছিলেন। তব সহজ ক্যাচ মুঠোবন্দী করতে পারেননি তাসকিন।
তবে প্রথম ওভারেই ক্যাচ মিস করা তাসকিন দ্বিতীয় ওভারেই নিজের করা প্রথম ওভারেই তাসকিন আউট করেন সাইম আইয়্যুবকে। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন পাকিস্তানি এ ওপেনার।
এদিকে সাইম আউট হওয়ার পরের ওভারেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় মোহাম্মদ হারিসকে। মেহেদী হাসানের করা পরের ওভারেই শামিম হোসেনের মুঠোবন্দী হয়ে আউট হন হারিস। এরপর দ্রুত আরও ২ উইকেট হারায় ম্যান ইন গ্রিনরা।
পঞ্চম ওভারে তানজিম সাকিবের বলে উইকেটকিপার লিটন দাসের গ্লাভসবন্দী হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন পাকিস্তানি অধিনায়ক সালমান আঘা। এরপরের ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে রিশাদ হোসেনের তালুবন্দী হয়ে আউট হন হাসান নওয়াজ।
নওয়াজ ফেরার পর আর খুব বেশি সময় ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি ফখর। দুইবার জীবন পাওয়া এই ওপেনার শেষ পর্যন্ত আউট হন রান আউট হয়ে। এর আগে তিনি করেন ৪৪ রান। দ্রুত উইকেট হারিয়ে একশর আগেই অল আউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল পাকিস্তান। তবে শেষদিকে আব্বাস আফ্রিদির ২২ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত অল আউট হওয়ার আগে ১১০ রানের দেখা পায় পাকিস্তান।