এবার গাজায় ইসরাইলি হামলায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার অন্তত ৫ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের ফিলিস্তিন মিশন জানিয়েছে, গাজা সিটির তাবুতে বোমা হামলা চালিয়ে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে আল জাজিরার সাংবাদিকদের হত্যা করেছে। গাজা সিটিতে আল-শিফা হাসপাতালের কাছে হওয়া ইসরায়েলি হামলায় তারা প্রাণ হারান। ওই সাংবাদিকরা যথাযথভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে ইসরায়েলের গণহত্যা ও ক্ষুধামৃত্যুর ঘটনা উন্মোচন ও নথিবদ্ধ করেছেন।

আল জাজিরা এই ঘটনায় কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ১১ আগস্ট সোমবার এক প্রতিবেদনে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা সিটিতে আল-শিফা হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি হামলায় আল জাজিরার পাঁচ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, নিহতরা হচ্ছেন প্রতিবেদক আনাস আল-শরীফ ও মোহাম্মদ কুরাইকেহ এবং ক্যামেরাপার্সন ইব্রাহিম জাহের, মোহাম্মদ নুফাল ও মোয়ামেন আলিওয়া। তারা হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে সাংবাদিকদের জন্য স্থাপিত একটি তাঁবুতে ছিলেন। সেটিকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল হামলা চালায় এবং তারা নিহত হন।আল জাজিরা এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর পরিকল্পিত ও প্রকাশ্য হামলা এবং টার্গেটেড অ্যাসাসিনেশন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

এদিকে আল জাজিরার সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক। একই সঙ্গে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিন মিশন। এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র ডুজারিক বলেন, আমরা আল জাজিরা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আজ গাজায় যা ঘটেছে, আমরা তা খতিয়ে দেখছি। আমরা সবসময়ই সাংবাদিক হত্যার নিন্দা জানাতে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছি।

গাজা হোক বা অন্য কোথাও-মিডিয়া কর্মীরা যেন কোনো হয়রানি, ভয়ভীতি বা টার্গেট হওয়ার আশঙ্কা ছাড়াই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা জরুরি। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের গাজার সব এলাকায় অবাধ প্রবেশাধিকার ও স্বাধীনভাবে পরিস্থিতি তুলে ধরার সুযোগ দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।