আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের আলোচনার মাঝেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো পাকিস্তানের বন্যার খবর আলোচনায় এসেছে। দেশটি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৪ জনে পৌঁছেছে।
দেশটির গণমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং আজাদ কাশ্মীর এলাকায় । ১৫ আগস্ট শুক্রবার পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, খাইবার পাখতুনখোয়ায় মারা গেছেন ১৮০ জন, আজাদ কাশ্মীরে মৃত্যু হয়েছে আরও ৯ জনের। এছাড়া ২৮ জন আহত হয়েছেন।
দেশটির প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ১৫৮ জন পুরুষ, ১৯ নারী ও ১৭ শিশু। বেশিরভাগই মারা গেছেন ভবন ধসে পড়া ও বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়ার কারণে। বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে: ১১৬টি বাড়ি পুরোপুরি ধসে পড়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়া: ১৪টি সম্পূর্ণ, ৩৪টি আংশিক ধ্বংস, গিলগিট বাল্টিস্তান: ৩টি সম্পূর্ণ, ১৪টি আংশিক, আজাদ কাশ্মীর: ২৮টি সম্পূর্ণ, ২৩টি আংশিক বিধ্বস্ত। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোবাইল ফোন টাওয়ার, সড়কপথ, ও ব্রিজ, ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বহু এলাকা।
বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে গিয়ে খারাপ আবহাওয়ার কারণে একটি উদ্ধার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫ জন নিহত হন। উদ্ধারকারী দলগুলো আকাশপথে, পায়ে হেঁটে এবং ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দিয়ে দুর্গত এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে, জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।