ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় নতুন করে আরও অন্তত ৭১ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৫১ জন। নিহতদের মধ্যে গাজা সিটিতেই মারা গেছেন ৩৭ জন। ইসরায়েল জানিয়েছে, এখানেই তারা আরও বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালাতে যাচ্ছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে হতাহতের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। একইদিন আল জাজিরার প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েলি সেনাদের কোয়াডকপ্টার ড্রোন শেখ রাদওয়ান এলাকার একটি স্কুল ভবনের উপর চক্কর দিচ্ছে। অল্প কিছুক্ষণ পরই সেটি থেকে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করা হলে অন্তত ১২ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই স্কুল ভবনেই অস্থায়ী তাঁবু ফেলে আশ্রয় নিয়েছিলেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা।
এ ছাড়া, আল-আহলি হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, গাজা সিটির তুফাহ এলাকায়ও ইসরায়েলি হামলায় আরও একজন নিহত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খাদ্য সংকট ও অপুষ্টিতে নতুন করে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে একটি শিশু রয়েছে। এ নিয়ে দুর্ভিক্ষ-সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭৩ জনে, যার মধ্যে ১১২ জনই শিশু। মন্ত্রণালয়ের দাবি, বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপ বা রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। ইসরায়েলি বোমা হামলার কারণে উদ্ধারকারী দলগুলোও সেখানে পৌঁছাতে পারছে না।
তথ্যমতে, ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি ভঙ্গের পর থেকে ইসরায়েলের নতুন অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১০ হাজার ৭১৭ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৩২৪ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৬২ হাজার ২৬৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬৫ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে, হামাসের ওই দিনের হামলায় ইসরায়েলে প্রাণহানি হয়েছিল ১ হাজার ১৩৯ জনের, আর জিম্মি করা হয়েছিল দুই শতাধিক মানুষকে।