প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকা। এসব এলাকায় টানা ভারী বর্ষণে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে ধস ও হড়পা বানে বহু মানুষ বিপদে পড়েছেন। সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার পথে। ধসে চাপা পড়ে কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২৩ জন।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রিয়াসি জেলায় অর্ধকুঁয়ারীর কাছে মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ ধস নামে। সেখানে বহু ভক্ত আটকা পড়ে যান। দ্রুত সেনা ও উদ্ধারকারী বাহিনী কাজ শুরু করলেও প্রবল বৃষ্টিপাতে বারবার বাধা তৈরি হচ্ছে। প্রশাসন আশঙ্কা করছে, ধসে আরও কয়েকজন আটকে থাকতে পারেন।

টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জম্মু-কাশ্মীরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে সেতু, রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যেই অন্তত সাড়ে তিন হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। অস্থায়ী ক্যাম্পে তাদের জন্য খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং আরও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কাটরাসহ কয়েকটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।বৈষ্ণোদেবী যাত্রা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ভক্তদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মন্দির কমিটির সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসন একযোগে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।

ধসে আটকে পড়া মানুষদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।জম্মু-কাশ্মীরের এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় নতুন করে চিন্তা জাগাচ্ছে পাহাড়ি এলাকায় মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে। স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাগাতার বর্ষণের ফলে ভূমিধসের ঝুঁকি আরও বাড়ছে, যা ভবিষ্যতেও বড় ধরনের বিপদের কারণ হতে পারে।