বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক।”

সম্প্রতি ঢাকার গুলশানে ভারতের কলকাতার বাংলা দৈনিক পত্রিকা ‘এই সময়’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি গতকাল সোমবার প্রকাশিত হয়। সেখানে ফখরুল বলেন, একটা সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হোক, যেখানে সব দল অংশগ্রহণ করবে।

শেখ হাসিনার মতো অপকর্ম বিএনপিও করবে না জানিয়ে তিনি বলেন, হাসিনা ১৫ বছর প্রতিপক্ষকে ভোটে দাঁড়াতে দেননি, তার শাস্তি পেয়েছেন। একই কাজ করলে আমরাও প্রতিফল পাব। তবে মানুষ এত রক্ত দেখেছেন, এত প্রাণহানি— তাদের মধ্যে আওয়ামী-বিরোধিতা রয়েছে।

নির্বাচন ও অশান্তি নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এবং এতে কোনো সংশয় নেই। মানুষ ভোটাধিকার ফেরত চাইছে, নির্বাচন চাইছে এবং ভোট উৎসবের মতো হবে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন কোনো অশান্তি হবে না।

নির্বাচনে জামায়াত-এনসিপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জামায়াত নির্বাচন অংশগ্রহণ করবে, তবে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধি) পদ্ধতি নয়, প্রচলিত ভোট পদ্ধতিতেই ভোট হবে। জামায়াত কিন্তু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে। আসলে দেশের প্রবল ভাবেই মানুষ নির্বাচন চাইছেন। সেনাবাহিনী চাইছে, অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও চাইছেন।

তবে এনসিপিকে তিনি রাজনৈতিক শক্তি মনে করেন না এবং বলেন তারা বিএনপিকে সরকার গঠন থেকে বিরত রাখতে চায়। জামায়াত ৩০ আসন চেয়েছিল, তবে বিএনপি রাজি হয়নি।

আসন্ন নির্বাচনে ভারতের কোনো প্রভাব থাকবে কিনা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারত মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী। সেই সময়ে এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। ভৌগোলিকভাবেও বাংলাদেশের তিন দিকে ভারত, এক দিকে সাগর। সুতরাং ভারতের প্রভাব বাংলাদেশে থাকবেই। সমস্যা হলো, বাংলাদেশ বলতে শুধু আওয়ামী লীগকে বুঝেছে ভারতের শাসকেরা। আওয়ামী লীগের ভাষ্য মেনে বিএনপি আর জামায়াতকে একই বন্ধনীতে ফেলেছে। জামায়াত আর বিএনপির রাজনীতি তো এক নয়। আমরা অসাম্প্রদায়িক, মধ্যপন্থী একটি গণতান্ত্রিক দল। মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত সংবিধান রক্ষায় আজও আমরা স্বাধীনতা-বিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করছি। বামেরা আমাদের সঙ্গে রয়েছে।’