শান্তিতে এ বছর নোবেল পুরস্কার জিতলেন ভেনেজুয়েলের মাহিনা কোহিয়ানা মাচাদো। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৩টা মিনিটের দিকে নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।
গত বছর (২০২৪) নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিল জাপানের অ্যান্টি-নিউক্লিয়ার সংগঠন নিহন হিদানকিয়ো, যা হিরোশিমা ও নাগাসাকির পরমাণু বোমা হামলার বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের এক তৃণমূল আন্দোলন।
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি জানিয়েছে, গত এক বছর ধরে মাচাদোকে আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। নিজের জীবনের গুরুতর হুমকি থাকা সত্ত্বেও তিনি দেশেই থেকে গেছেন, এমন একটি সিদ্ধান্ত যা লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি তার দেশের বিরোধী দলকে একত্রিত করেছেন। ভেনেজুয়েলার সমাজের সামরিকীকরণ প্রতিরোধে তিনি কখনও দ্বিধা করেননি। গণতন্ত্রে শান্তিপূর্ণ উত্তরণের জন্য অবিচল ছিলেন মাচাদো।
প্রসঙ্গত, ১৯০১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ১১৪ বার নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১১ জন ব্যক্তি এবং ৩১টি সংস্থা মিলে পুরস্কার বিজয়ীর সংখ্যা ১৪২। রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি তিনবার (১৯১৭, ১৯৪৪, ১৯৬৩) নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে, এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার দপ্তর দুইবার (১৯৫৪ ও ১৯৮১) পুরস্কার লাভ করেছে। বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক ২০০৬ সালে সমাজের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।