হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো শাখায় লাগা ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে হতে পারে বলে ধারণা করছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে কুর্মিটোলায় বেবিচক সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ধারণার কথা জানান।

তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা নিশ্চিত নই। প্রাথমিকভাবে এমনটিই ধারণা করা হচ্ছে। অনেক সংস্থা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তাদের তদন্ত শেষে আগুনের প্রকৃত ও সুনিশ্চিত কারণ জানা যাবে।

চেয়ারম্যান বলেন, ১৮ অক্টোবর আনুমানিক দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে বিমানবন্দরের ইমপোর্ট কার্গো টার্মিনালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। প্রথমে আমরা টাওয়ার থেকে ধোঁয়া দেখতে পাই। আগুনের সময় ১৫টি ফ্লাইট ভিন্ন ভিন্ন রুটে পাঠানো হয়েছে। আর এ সময় বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় যত যাত্রী আটকা পড়েছিলেন, তাদের পরদিন বিকেল ৪টার মধ্যে নির্ধারিত গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে দেরি কেন হয়েছে—এমন প্রশ্নের উত্তরে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের সামনের অ্যাপ্রোনে পণ্য স্তূপ করায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে শুরুর দিকে বেগ পেতে হয়েছে ।

তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তারা বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে আসা মালামাল কার্গো ভিলেজের সামনের অ্যাপ্রোনে পণ্য স্তূপ করে রেখেছিল। যার কারণে ফায়ার সার্ভিস ঢুকতে বেগ পেতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের সবার প্রচেষ্টা ছিল আগুন যাতে ইমপোর্ট কার্গো টার্মিনালের বাইরে না যায়। কারণ এর উত্তর পাশে বিমানের মেইনটেনেন্সের হ্যাঙার ছিল, দক্ষিণ পাশে আমাদের মূল টার্মিনাল বিল্ডিং ছিল। সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতো।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শাহজালাল বিমানবন্দরের মান কমবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, শাহজালালে আগুনের ঘটনায় আইকা ও এর মানদণ্ডে প্রভাব ফেলবে না, তবে দুর্ঘটনা প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা নিলে বিমানবন্দরে ইমেজ বাড়বে।