আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা ঘোষণা করছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম পড়ে শোনান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম) আসন থেকে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের নাম ঘোষণা করেছে দলটি।
কয়েক মাস আগে একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন ফজলুর রহমান। জুলাই নিয়ে তার কটাক্ষমূলক ব্ক্তব্যের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ হয় তার বিরুদ্ধে। অনেক জায়গায় তার কুশপুত্তলিকাও দাহ করা হয়। এমনকি তার কিশোরগঞ্জের বাড়ির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। একপর্যায়ে দল তাকে শোকজ করে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গত ২৬ আগস্ট ৩ মাসের জন্য তার সব ধরনের পদ স্থগিত করে বিএনপি। এই সিদ্ধান্তের পর ২ মাস ৮দিনের মাথায় আলোচিত এই নেতাকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দিলো বিএনপি।
নির্বাচনে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বগুড়া-৭ এবং দিনাজপুর-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। সেই নির্বাচনে প্রায় ২৩৫ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলন সঙ্গীদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে, সেটি বিএনপি সমন্বয় করে নেবে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বীরবিক্রম ভোলা-৩ আসনে নির্বাচন করবেন।
অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান চরম দুর্দিনে ২০০৭ সালের দিকে বিএনপিতে যোগদান করেন এবং প্রায় আট বছর কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের আমলে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে দুবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র এবং প্রতিপক্ষ দলের বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হন। এমনকি ওই আসনে তার প্রতিপক্ষ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও সরকারের রোষানলে পড়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলার আসামি হয়ে দীর্ঘ দিন দেশান্তরী থাকতে বাধ্য হন।












