খিলগাঁও এলাকায় চাঁদাবাজ ও টেন্ডরবাজদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় নেতা আনিসুর রহমান টিপু। তার সাথে রয়েছে তার সহযোগী হুমায়ুন কবির নাহিদ ওরফে বোম নাহিদ। এলাকাবাসীর অভিযোগ টিপু-নাহিদ গং-রা এসব এলাকায় অপকর্মের শীর্ষে রয়েছে ।
আনিসুর রহমান টিপু মূলত বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি বিআইডব্লিউটিএ, ডিআইটি, বাংলাদেশ রেলওয়েসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টেন্ডারকে নিয়ন্ত্রণ করেন। এছাড়া শিকদার কনস্ট্রাকশন এর মালিক বিআইডব্লিউটিএ’র ঠিকাদার সমিতির সভাপতি এবং ডিআইটি ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক।


এই কারণে তার ইশারায় এসব এলাকায় চলে সমস্ত ঠিকাদারী ব্যবসা। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করলেও গত কোরবানীর ঈদের শাহজাহানপুরের গরুর হাটের ইজারা জোরপূর্বক নিয়েছিলেন এই আনিসুর রহমান ওরফে টিপু।
খোজ নিয়ে জানা যায় এই আনিসুর রহমান টিপু ১৯৯৬ সালে গোপীবাগ সাবেক ৩১ নং ওয়ার্ড বর্তমান (৮ নং ওয়ার্ড) যুবলীগের একজন সক্রিয় নেতা হিসাবে কাজ করেছেন। তার সাথে স্থানীয় বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির নাহিদ, ওরফে বোম নাহিদ এর প্রচ্ছন্ন মদদে এই সকল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
হুমায়ুন কবির নাহিদ এর প্রধান এবং একমাত্র কাজই হচ্ছে চাঁদাবাজী করা। খিলগাঁও বাজারের মধ্যে একটি মসজিদ মাদ্রাসার ফান্ড থেকে ১১ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়েছেন তিনি। রেলগেটের মাছের বাজার এবং অন্যান্য দোকান থেকে প্রতি মাসে ৭ লক্ষ টাকা চাঁদা তোলেন নাহিদ। বাজারের ভিতরে একটি মার্কেটের কনস্ট্রাকশানের কাজের থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়েছেন।
শাহজাহানপুরের ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ পুরোটাই নাহিদের কব্জায়। হুমায়ুন কবির নাহিদ (বোম নাহিদ) বর্তমানে কোন পদে না থাকলেও এক সময় শাহজাহানপুর থানা আহ্বায়ক, যুবদল (দক্ষিণ) পদে ছিলেন।


বর্তমানে সে এক অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজী শুরু করেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে অবস্থিত তার নিজের বাড়িতে দলীয় কোন অনুমতি ছাড়াই গড়ে তুলেছেন নির্বাচনী কার্যালয়। সেখানে রাত ৯ টার পরেই বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ডেকে আনা হয় এবং হুমকি ধামকি দিয়ে জোরপূর্বক নির্বচনী খরচের কথা বলে ডোনেশন আদায় করা হয় সেই সাথে আরও ডোনেশনের প্রতিশ্রুতিও নেয়া হয়। এসকল কাজে সহায়তার জন্য ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ফ্রিডম সোহেল এই অফিসে নিয়মিত যাতায়াত করেন। এসব কর্মকান্ডের জন্য এই আসনের একজন জনপ্রিয় নেতার সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং ঢাকা ৮ আসনের এমপি পদপ্রার্থীর জন্যও বেশ বিব্রতকর।
এক কথায় পুরো এলাকাটাকেই টিপু নাহিদ গং-রা টেন্ডারবাজ আর চাঁদাবাজদের রাজত্বে পরিণত করেছে। যার ফলে এলাকাবাসী বিএনপির উপর ক্ষুব্ধ হচ্ছে এবং প্রকারান্তরে এলাকার স্থানীয় নেতাদের সম্মানহানী হচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে বিএনপি তথা তারেক রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়ার ৩১ দফা বাস্তবায়নে বড় ধরনের ধাক্কা খাবে এবং বিরোধীরা এই সকল অপকর্মকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে।












