শীতকাল মানেই আদর-চাদর জড়িয়ে রাখা শুভ্রতায় ভরা দিন। যেখানে থাকে না প্রখর রৌদ্র কিংবা মেজাজ খারাপ করা গরম। শান্ত-শিষ্ট এই ঋতুতে বিয়ের ধুম পড়তে দেখা যায়। অনেকেই বিয়ের জন্য শীত মৌসুমকেই বেশি পছন্দ করেন। তবে বিয়ের সঙ্গে শীতের যে সম্পর্কই থাকুক না কেন, বাড়তি কিছু সুবিধা রয়েছে। এক নজরে দেখে নিন শীতকালে বিয়ের যত সুবিধা-
সাজগোজে স্বস্তি: আমাদের উষ্ণ আবহাওয়ার এ দেশে প্রায় সারা বছরই গরম বা আর্দ্রতা বিরাজ করে। গরমে-ঘামে মেকআপ গলে যায়, সমস্যা সৃষ্টি হয়। শীতের শুষ্ক মৌসুম ছাড়া দীর্ঘ সময় মেকআপ রাখার সুযোগ আর নেই। বিয়ের সাজগোজ তখন সহজ হয়। তাই বর-কনে ছাড়া বাকিরাও বিয়েবাড়ির সাজের আনন্দ নিতে পারে মনমতো।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়: শীতকালে ফ্যান চালানোর প্রয়োজন হয়না। আবার দ্রুত ঘুমানোর একটা তাড়া থাকে। তাই সব ঝলমলে লাইটও তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। এতে বড় পরিমানের বিদ্যুৎ বিলেও সাশ্রয় আসে। অতিথি অভ্যাগতদের যতেœ সুবিধা হয়, সঙ্গে সাশ্রয়ও।
লম্বা ছুটি: বেশিরভাগ স্কুলে নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। অতএব ছেলে-মেয়েদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ডিসেম্বরে স্কুল বন্ধ থাকে। এসময় তাদের সঙ্গে ছুটি মিলিয়ে বড়রাও সহজে বেড়াতে যেতে পারেন। এ সুযোগেই সব আত্মীয়স্বজন একত্রিত হতে পারেন। বছরের অন্যান্য সময় সবাইকে একত্রে পাওয়া অতটা সহজ নয়। তাই বিয়ের জন্য বেশিরভাগ মানুষ শীতকালই বেছে নেন।
ভারী খাবার সহনীয় হয়: বিয়েবাড়িতে প্রচুর পরিমাণে মাংস ও তৈলাক্ত খাওয়া হয়। সে কারণে গরমের বিয়েতে অতিরিক্ত খেয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন অনেকে। অনেকের আবার রক্তচাপ বেড়ে যায়। এদিক দিয়ে শীতের বিয়ে বেশ আরামদায়ক। কেননা শীত কালে অতিরিক্ত মাংসজাতীয় খাবার খেলেও অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কোনো ভয় নেই।
পরিশ্রমে সুবিধা: বিয়ের আয়োজন করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। বিয়ের আয়োজন, খাওয়া-দাওয়া, প্যান্ডেল— কত কাজই না করতে হয়! সাধারণত গরমের দিতে একটু পরিশ্রম করলেই হাপিয়ে উঠতে হয়। কিন্তু শীতের দিনে এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। তাই শীতকালই বিয়ের জন্য সেরা।
ডেকোরেশন: শীতকালে অনেক ফুল পাওয়া যায়। ডালিম, চন্দ্রমল্লিকা থেকে রজনিগন্ধা, অর্কিড, গাঁদা, গোলাপ ও জুঁই-সহ নানান টাটকা ফুল পাওয়া যায়। তাই কৃত্রিম ফুলের প্রয়োজন হয় না। চাইলে পুরো বিয়ের অনুষ্ঠান প্রাকৃতিক ফুলে সাজানো যায়। তাতে বিয়ের চাকচিক্য আলাদা মর্যাদা পায়।
ফল কেনার ঝামেলা নেই: সাধারণত গরমের সময় নানান মৌসুমি ফল পাওয়া যায়। কিন্তু ফল কেনার ঝামেলা থাকে। অথচ এইসব মৌসুমি ফল শীতে বেশি পাওয়া যায় না। তাই শীতের সময় বিয়ে হলে মৌসুমি ফল কেনার ঝামেলাও নেই।












