করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রখ্যাত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের অবস্থার অবনতি হয়েছে। এ জন্য তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। রোববার রাত ১০টার পর তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।

১৪ জুলাই ফকির আলমগীরের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। ১৫ জুলাই সন্ধ্যা থেকে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। গতকাল সারাদিন তার অবস্থা ভালো ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমতে থাকে।

ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব গতকাল বলেছিলেন, ‘স্বাভাবিক নিয়মে বাবাকে খাওয়ানো যাচ্ছে না। এজন্য নল দিয়ে বিশেষ উপায়ে খাওয়াতে হচ্ছে। বাবার ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে। চিকিৎসকেরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার (১৬ জুলাই) বাবাকে দুই ব্যাগ প্লাজমা আর ইনজেকশনও দেওয়া হয়েছে। বাবার অবস্থা বর্তমানে অপরিবর্তিত রয়েছে। সবার কাছে বাবার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চাই।’

এছাড়া তার ফুসফুসের ৬০ শতাংশ সংক্রমিত হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

উল্লেখ্য, ফকির আলমগীর একজন কণ্ঠযোদ্ধা। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন। অবশ্য এর আগে ষাটের দশক থেকেই গণসংগীত গেয়ে আসছিলেন তিনি। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অসামান্য ভূমিকা রাখেন তিনি।

স্বাধীনতার পর ফকির আলমগীর পপ ঘরানার গানে যুক্ত হন। পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে বাংলার লোকজ সুরের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি বহু গান করেছেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে।