“Where the press is free

and every man able to read,

all is safe.”

― Thomas Jefferson

থমাস জেফারসনকে বলা হয় আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম। অসাধারণ গণতন্ত্র ও সম্প্রীতির এই দেশটির তৃতীয় প্রেসিডেন্ট জেফারসনই এদেশে বাক স্বাধীনতা এবং মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার অন্যতম পথিকৃৎ। অথচ আঠারো’শ শতকের একেবারে গোড়ার দিকটায় দেশটির সামাজিক ব্যবস্থা কিন্তু এতটা শৃঙ্খলার মধ্যে ছিল না। তখন ভালো কিছু প্রতিষ্ঠার কাজটিও ছিল অনেক কঠিন। সেই সময়ে যখন একজন মানুষ বলেন, ‘যেখানে গণমাধ্যম মুক্ত, প্রত্যেক মানুষ পড়তে সক্ষম, সেখানে সবকিছু নিরাপদ’ কথাটি অনেক বেশি অর্থবহ। আর এটি কেবল আমেরিকা নয়, গোটা বিশ্বের জন্যেই প্রযোজ্য।

আধুনিক সভ্য সমাজেও পৃথিবীর অনেক দেশে এখন মুক্ত গণমাধ্যমের পরিবেশ নেই। নির্যাতন ও হত্যার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। এরপরও পেশার প্রতি শ্রদ্ধা ও দায়িত্বশীলতা নিয়েই অনেকে কাজ করে যাচ্ছেন। বিরুদ্ধ স্রোতে নৌকা বেয়ে মানুষের জন্যে কাজ করছেন। সাংবাদিকদের লড়াই করতে হচ্ছে সমাজের অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে, অর্থের জোগানদাতা কর্পোরেট হাউজ, প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কোন কোন দেশে কখনো লড়াই করতে হচ্ছে রাষ্ট্রের অন্যায্য ইচ্ছার বিরুদ্ধেও। পৃথিবীর দেশে দেশে বিভেদ। সেই বিভেদ ঢুকে পড়েছে সাংবাদিকদের মধ্যেও। কখনো কখনো ‘লোভ’ নামক অদ্ভূত, অসুন্দর আকাঙ্খা ধ্বংস করছে সাংবাদিকতার মর্যাদাকে। তবে সাংবাদিকতার মধ্যে ‘অসততা’ ঢুকে পড়েছে, এমন অভিযোগ মানলেও, সেটা সবার ক্ষেত্রে নয়। কেননা সততা নিয়ে এখনো অনেক সাংবাদিক সত্যের পক্ষে লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন। সত্য ও সুন্দরের পক্ষে সেই লড়াইয়ে আমরাও মানুষের পাশে থাকতে চাই। আর সেটা বস্তুনিষ্ঠ ও অবাধ তথ্য প্রবাহের মধ্য দিয়ে। সেই অগ্রযাত্রায় পাঠকদের পাশে চাই আমরা।

 

আরশাদ আলী
সিইও
www.fbnews247.com