অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফিরতে সহায়তা করতে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ১ আগস্ট রবিবার বিশেষ এ কাউন্টার স্থাপন করা হয়।

ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পোস্টে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যাতে রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা তাদের দেশে ফেরার সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা পায়। অপেক্ষাকৃত কম সময়ে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য বিশেষ কাউন্টার যুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া অপেক্ষমাণ অভিবাসীদের নামাজের ব্যবস্থা এবং খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য একটি দোকান স্থাপন করা হয়েছে। প্রত্যেকে যাত্রীর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য স্থানগুলো নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। ফ্লাইট টাইম অনুযায়ী এ সুবিধা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছে ইমিগ্রেশন। কিন্তু অনেকেই দুই তিন দিন আগেই বিমানবন্দরে অবস্থান নেওয়ায় বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামের সুবিধা দিতে জহুর প্রদেশের স্টুলাং লাউট শাখা ইমিগ্রেশন অফিসে বিশেষ কাউন্টার খোলা হয়েছে।

জোহর স্টেট ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জেআইএম) পরিচালক বাহারউদ্দিন তাহির বলেন, কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়াও এ বিশেষ কাউন্টারের সুবিধা নিয়ে সমুদ্রপথে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারছেন অভিবাসীরা। বিশেষ করে যারা ফেরিতে করে নিজ দেশে ফিরে যেতে চায় তারা এ সুবিধা নিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, সাধারণত ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকদের সমুদ্র পথে যাতায়াতের অনুমতি আছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া প্রবেশ বা মালয়েশিয়া ত্যাগের অনুমতি নেই।

ইমিগ্রেশনের শর্ত অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসীদের তাদের নিজ দেশে ফেরার জন্য ভ্যালিড পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট (টিপি), কনফার্ম ফ্লাইট টিকিট, নেগেটিভ করোনা টেস্ট রিপোর্ট (৭২ ঘণ্টার মধ্যে), ইলেকট্রনিক ফিস পরিশোধের সুবিধাসহ (ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড/ টাচ অ্যান্ড গো- ই ওয়ালেট) নিয়ে কাউন্টারে আসতে হবে। এজন্য আগে থেকে ইমিগ্রেশনের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে না। তবে জরিমানা দিতে হবে ৫০০ রিঙ্গিত।

এদিকে অনেক অবৈধ অভিবাসী নির্ধারিত যাত্রার কয়েক দিন আগেই বিমানবন্দরে অবস্থান করছেন। এতে আবার তাদের করোনা টেস্ট করতে হচ্ছে। ফলে খরচও হচ্ছে অতিরিক্ত। ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপালের কমিউনিটি এবং অনেক সময় ইমিগ্রেশনও তাদের খাবার দিচ্ছে। কিন্তু সব ডকুমেন্ট নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হলে এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।