করোনোর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা ভারত। দেশটিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ সন্নিকটে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে করোনার নতুন প্রজাতি ডেল্টা প্লাসে ২২ জন ভারতীয় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে ভারত সরকার উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।

মঙ্গলবার নতুন এই ধরনের কথা জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। ডেল্টা প্লাসে আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ জনই মহারাষ্ট্রের। বাকিরা কেরালা এবং মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা।

করোনার এই প্রজাতি টিকার কার্যকারিতা পরাস্ত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

এদিকে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, ভারতের দু’টি টিকা কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ডে এই প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভারতের দু’টি টিকারই এই ডেল্টা প্রজাতিকে ঠেকানোর ক্ষমতা রয়েছে। তবে এই ক্ষমতা কতখানি, বা কতটা অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতা রয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি।’

কলকাতার প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, করোনার এই নতুন প্রজাতি গত কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্রের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিল্লিতে এ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজেশ। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের পাশাপাশি মোট ৯টি দেশে করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। ব্রিটেন, পর্তুগাল, সুইৎজারল্যান্ড, পোল্যান্ড, জাপান, নেপাল, চীন এবং রাশিয়াতেও ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ জনই মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি এবং জলগাঁওয়ের বাসিন্দা। আপাতত ডেল্টাপ্লাসে আক্রান্ত এলাকাগুলোকে কনটেইনমেন্ট জোন বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।