আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিন থেকে আবারও একধরনের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড। বুধবার (২১ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এর ফলে তল্লাশি অভিযানের আওতা আরও বাড়ানো হচ্ছে। একটি এইচসি-১৩০ হারকিউলিস ফ্লাইট ৮৭৯ মাইল (১৪শ কিলোমিটার) এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানায়, পানির তলদেশে শব্দ শনাক্ত হওয়ায় ইতিমধ্যে অনুসন্ধানকারী রোবটের অবস্থান পরিবর্তন করে শব্দের মূল উৎপত্তিস্থলের দিকে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে এখনো নিখোঁজ ডুবোজাহাজটিকে শনাক্ত করা যায়নি।
মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক পারমাণবিক সাবমেরিন কমান্ডার ডেভিড মার্কুয়েট বলেছেন, সমুদ্র তলদেশ থেকে পাওয়া যে শব্দে আশার সঞ্চার হয়েছিল, সেটি টাইটান ডুবোজাহাজ থেকে থেকে না-ও আসতে পারে।
উত্তর আটলান্টিকে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের অবশিষ্ট অংশ দেখতে গিয়ে গত রোববার (১৮ই জুন) নিখোঁজ হয়েছে ডুবোজাহাজটি। এই ডুবোজাহাজে পাঁচ যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। ওশান গেট এক্সপিডিশন নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে ওই অভিযান শুরু হয়েছিল। ২১ ফুট লম্বা একটি ডুবোজাহাজ নিয়ে বেরিয়েছিলেন তারা। ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন সঞ্চয় নিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া পর্যটকবাহী ডুবোজাহাজ ‘টাইটান’।
আটলান্টিক সাগরের যে এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ, সেটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে।
যাত্রীরা হলেন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং (৫৮), ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯), ওশনগেটের শীর্ষ নির্বাহী স্টকটন রাশ (৬১) ও ডুবোজাহাজটির চালক ও ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা পল হেনরি নারগিওলেট (৭৭)। এই অভিযানে যাওয়ার জন্য প্রত্যেক অভিযাত্রীর মাথাপিছু খরচ হয়েছে আড়াই লাখ ডলার।