করোনাভাইরাসের প্রভাবে নির্ধারিত সময়ে করা যায়নি টোকিও অলিম্পিক। শেষ পর্যন্ত এক বছর দেরি করে হলেও সফলভাবে মাঠে গড়িয়েছে বৈশ্বিক এই ইভেন্ট। যেখানে অধিকাংশ জাপানি এই আয়োজনের বিপক্ষে ছিলেন। সেখানে দেখতে দেখতে ১৭দিনের মহাযজ্ঞের অবসানও হলো অবশেষে। প্রায় দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে বিশ্বের প্রায় সব দেশের অংশগ্রহণ শেষে আজ রবিবার অলিম্পিকের ৩২তম আসরের পর্দা আনুষ্ঠানিকভাবে নেমেছে। এখন অপেক্ষা ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের।
সমাপনী অনুষ্ঠানে হস্তান্তরও হয়েছে পতাকার। টোকিওর মেয়র ইউরিকো কোইকে পতাকা তুলে দেন আইওসি সভাপতি টমাস বাখের হাতে। আইওসি সভাপতি সেটা আবার তুলে দিয়েছেন ২০২৪ অলিম্পিকের স্বাগতিক প্যারিসের মেয়র আন হিদালগুর হাতে।
বিদায়ী ভাষণে আইওসি প্রেসিডেন্ট বাখ আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘খেলাধুলার ঐক্যবদ্ধ শক্তি দিয়ে আপনারা আমাদেরকে অনু্প্রাণিত করেছেন। এই সময়ে আপনারা বিশ্বকে বড় উপহার দিয়েছেন। মহামারীর কারণে আপনাদেরকে (টোকিওর আয়োজক) যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, এ কারণে এটি আরও বেশি অসাধারণ। আপনাদেরকে ধন্যবাদ। আমি গেমসের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করছি।’এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বড় পর্দায় এবারের গেমসের নানান দিক তুলে ধরা হয়।
এবার সোনার পদকের নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল ৩৩৯টি। কিন্তু অলিম্পিকের ১১৩ বছরের ইতিহাসে যা আগে হয়নি এবার সেটিই হয়েছে। হাই জাম্পে কাতারের মুতাজ ইসা বারশিম ও ইতালির জিয়ানমার্কো তামবেরি সোনার পদক ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। পদক ভাগাভাগি করায় পদকসংখ্যা বেড়েছে একটি।
বিশাল এই মহাযজ্ঞ শেষে যুক্তরাষ্ট্র পদক তালিকায় সবার ওপরে থেকে অলিম্পিক শেষে করেছে। রিও ডি জেনেরিইওর পর টোকিওতেও তাদের আধিপত্য বজায় থাকলো। ৩৯টি সোনা, ৪১টি রুপা ও ৩৩টি ব্রোঞ্জসহ ১১৩টি পদক তাদের। একটি সোনার পদক কম নিয়ে চীন আছে দ্বিতীয় স্থানে। রিওতে তৃতীয় স্থানে থাকা চীন এবার ৩৮টি সোনা ৩২টি রুপা ও ১৮টি ব্রোঞ্জসহ ৮৮টি পদক জিতেছে। আয়োজক জাপান রয়েছে তৃতীয় স্থানে। ২৭টি সোনা, ১৪টি রুপা, ১৭টি ব্রোঞ্জ সহ ৫৮টি পদক উঠেছে তাদের ঝুলিতে। এছাড়া অংশগ্রহণকারী ৮৬টি দেশ পেয়েছে পদক। বাংলাদেশও আগের মতো এই গেমসে অংশ নিয়েছে। আর্চারিতে রোমান ছাড়া বাকী সবাই ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে তাতে অংশ নেয়। তবে কেউই বেশিদূর যেতে পারেননি।