নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জিতে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ছাপিয়ে টি-টোয়েন্টির সফলতম অধিনায়ক এখন মাহমুদউল্লাহ। আগামীকাল (রবিবার) সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে এই মাহমুদউল্লাহর সামনেই অন্যরকম ‘সেঞ্চুরির’ হাতছানি। টস করতে নামলেই বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টি-টোয়েন্টি খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেও বিশ্বের সাত ক্রিকেটারের ১০০ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০০৭ সালে ১ সেপ্টেম্বর কেনিয়ার বিপক্ষে কুড়ি ওভরের ফরম্যাটে অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। তার অভিষেকের পর বাংলাদেশ খেলেছে ১০৮ ম্যাচ, সেখানে মাহমুদউল্লাহর ম্যাচ ৯৯টি! মাহমুদউল্লাহর পরে মুশফিকুর রহিম ৮৮ ও সাকিব আল হাসান ৮৬ ম্যাচ খেলেছেন।
সবচেয়ে বেশি ১১৬ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে শোয়েব মালিকের। এরপর পাকিস্তানের আরেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ খেলেছেন ১১৩ ম্যাচ। ভারতের রোহিত শর্মা ১১১ ম্যাচ খেলে তিন নম্বরে আছেন। ইংলিশ ব্যাটসম্যান ইয়োন মরগান ১০৭ ম্যাচ খেলেছেন। আইরিশ কেভিন ও’ব্রায়েন খেলেছেন ১০৩ ম্যাচ। মার্টিন গাপটিল ও রস টেলর ১০২ ম্যাচ করে খেলেছেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘আনসান হিরো’ হয়ে আছেন মাহমুদউল্লাহ। দলের প্রয়োজনে সবসময় ব্যাট কিংবা বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ৯৯ ম্যাচে ১২০.১৯ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ১ হাজার ৭০২। সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের হারানোর পর সংবাদমাধ্যমকে নিজের মাইফলক নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘আলাদা কোনও পরিকল্পনা নেই। আমি চেষ্টা করবো যেন… আমার সবসময় যেটা লক্ষ্য থাকে, দলের জন্য খেলা ও দলে অবদান রাখা। আমি চেষ্টা করবো যদি আমি সুস্থ থাকি ও আমার ১০০তম ম্যাচটি খেলতে পারি, দলের জন্য যেন অবদান রাখতে পারি।’