গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ‘বাংলাদেশি ফিউনারেল সার্ভিস’ নামের একটি সমাজসেবামূলক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যায় ফ্লোরিডায় বসবাসরত বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দ স্পাইসি চিলি রেস্টুরেন্টে একত্রিত হয়ে এই সংগঠন গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। সংগঠনের দ্বিতীয় বৈঠক সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়। পরে সংগঠনটি ‘বাংলাদেশী বিউরিয়াল ফান্ড ইন্ক’  নামে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দাফন কাফন সংক্রান্ত বিষয়ে দাতব্য তহবিল গড়ে তোলা ও সাংগাঠনিক কাজ শুরু করেছে।

ফ্লোরিডার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মোঃ জামান, দিনাজ খান, মোঃ হক হায়দার, আলি নুর মঞ্জু, কামাল আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ পাপ্পু, আরিফুল হক, ওসমান চৌধুরী অপু, ফিরোজ খান, এহসান আহমেদ হিমেল, আবদুল বি জাহাঙ্গীর, মোঃ আমিন, আয়ুব হাসান, নাঈম খান দাদন, টিটন মালিক, দাদন খান, নওশেদ পবন, মোঃ মহসিন, আহমেদ মিথেল, আবু ইদ্রিস লাবু, জব্বার মাতব্বর, মোঃ বাবুলম মোঃ বাবর, মোঃ মাসুদ, আহমেদ চৌধুরী, সেলিম সিকদার, বদরুজ্জামান শিবলু, মো: আশু  ও জাকির হোসেনসহ স্থানীয় প্রায় একশত ব্যক্তি এই মহৎ কাজে এগিয়ে আসেন।

বৈঠকে নাঈম খান দাদন , আরশাদ আলী , ইমন করিম , মো: মহশিন , তোহিদুল ইসলাম খান , মো: খোরশেদ সহ অনেকেই এই মহত কাজের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেন।

প্রবাসী সকল বাঙ্গালী মুসলমানদের সাহাযার্থে এমন সংগঠন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়ায় নেতৃবৃন্দকে সকল সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন প্রশংসা করেন। এ সংগঠনের মুল উদ্যেশ্য মানুষ মৃত্যুর পর দাফনের সময় যাদের সম্পুর্ণ টাকা পরিশোধের সক্ষমতা নাই তাদেরই পাশে থেকে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেওয়া । মায়ামী থেকে ভেড়ো বীচ অব্দি এর মধ্যে যাদের প্রয়োজন ঠিক তাদেরই জন্য এগিয়ে যাবে ‘বাংলাদেশী বিউরিয়াল ফান্ড ইন্ক’।

মূলত, ফ্লোরিডায় বাংলাদেশিদের মৃত্যুর পর দাফনের সম্পূর্ণ কার্যক্রম ও সমাহিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের সার্বিক সহযোগিতা করার ব্যাপারে এই সংগঠনটি কাজ করবে।

প্রবাসী জীবনযাত্রার মধ্যে থেকেও ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেকের পক্ষে দাফন সম্পন্ন করার সামর্থ হয়ে ওঠেনা। বেশ কিছুদিন ধরে এ সমস্যা দেখা দিলে স্থানীয়রাই সহযোগিতা করে আসছেন। মায়ামী থেকে পাম বিচ পর্যন্ত একই ধরনের ভোগান্তিতে না পড়লেও ধীরে ধীরে এর মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব দিক বিবেচনা করে গত সেপ্টেম্বরে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ একটি সমাজসেবামূলক সংগঠনের পরিকল্পনায় বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে বাংলাদেশি ফিউনারেল সার্ভিস নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। এই সংগঠনের প্রথম পদক্ষেপ হবে প্রয়োজনীয় দরিদ্র পরিবারের দাফন খরচ বহন করা, যা প্রায় চার হাজার আটশত ডলার।

বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সমাজসেবামূলক মানবিক কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে পারলে আগামীতে বাংলাদেশিদের মাধ্যমে কবরস্থান স্থাপন করা হবে।