যুক্তরাষ্ট্রের আলোচিত সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার তার রিপাবলিকান দলেরই আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে একহাত নিয়েছেন।

ট্রাম্প বলেছেন, সন্ত্রাস দমন নিয়ে লেকচার দেওয়া বুশের জন্য মানায় না। এ বিষয়ে কাউকে উপদেশ দেওয়াও অন্তত তার সাজে না। খবর দ্যা ওয়াশিংটন পোস্টের।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১৩ সেপ্টেম্বর এক ই-মেইলে তার পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট বুশকে আক্রমণ করে এসব কথা বলেন।

‘নাইন-ইলেভেন’-এর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে ১১ সেপ্টেম্বর পেনসিলভানিয়ায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বুশ।

সেই স্মরণসভায় বুশ আমেরিকার বাইরের উগ্রবাদীদের সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে বেড়ে ওঠা উগ্রপন্থিদের তুলনা করেন। গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলায় যোগ দেওয়া উগ্রপন্থি ও বাইরের দেশের উগ্রবাদীদের চেতনা এক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আমেরিকাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উগ্রবাদীদের ক্রমাগত মোকাবিলা করে আমেরিকানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বুশ।

১১ সেপ্টেম্বর পেনসিলভানিয়ায় বুশের দেওয়া এ বক্তব্যের জন্য তাকে তুলোধোনা করেন ট্রাম্প। ই-মেইলে ট্রাম্প বলেন, ‘উগ্রবাদ নিয়ে জর্জ বুশের বক্তৃতা দেখতে হচ্ছে আমাদের!

বুশই আমেরিকাকে আফগানিস্তান ও মরুর দেশগুলোতে যুদ্ধে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি সেসব যুদ্ধে হেরেছেন! এখন সেই বুশই বলছেন, আমেরিকার ডানপন্থি লোকজন বাইরের উগ্রবাদীদের চেয়ে ভয়ঙ্কর!

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বুশ। এ হামলার জেরে তার নির্দেশে আফগানিস্তানসহ একাধিক দেশে সামরিক অভিযানে যায় যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে আফগানিস্তানে ২০ বছর যুদ্ধ করে দেশটি। বুশের শুরু করা এ যুদ্ধ গত মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘যুদ্ধে বুশ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় কেন করেছিলেন? এ অর্থ ব্যয়ই লাখো মানুষের মৃত্যুর কারণ।’

সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশের চোখের সামনেই সন্ত্রাসী হামলায় ধসে পড়েছিল টুইন টাওয়ার। সে কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, বুশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে একটি ব্যর্থ দায়িত্ব পালন করেছেন। এ কারণেই তার ‘লেকচার’ দেওয়া মানায় না।