ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
শুক্রবার রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।
এর আগে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইসকা বিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- রুবিনা বেগম (৪০), মোসা. ফরিদা বেগম (৪০) ও তার স্বামী জজ মিয়া, অঞ্জনা (৪২) ও তার স্বামী পরিমল বিশ্বাস। অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী আলী আক্তার রিজভী বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি সদর উপজেলার আনন্দবাজার ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। পথিমধ্যে লইসকা বিল এলাকায় বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে যাত্রীবোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। স্থানীয় মানুষও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।
এছাড়াও নৌকাডুবির ঘটনায় আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও মুমূর্ষু অবস্থায় পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রী আলী আক্তার রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি সদর উপজেলার আনন্দবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে লইসকা বিল এলাকায় বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, ফায়ার সার্ভিসের একাধিক উদ্ধারকারী দল ও ডুবুরিরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। বালুবোঝাই ট্রলারটি পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে এবং আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছেG