ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভোল্ট থেকে চার কোটি টাকা লুট হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দুই কর্মকর্তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তারা হলেন- ব্রাঞ্চের ক্যাশ-ইনচার্জ রিফাত ও ম্যানেজার (অপারেশন) ইমরান। বংশাল থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই মাসুম বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই টাকা আত্মসাতের বিষয়টি বুঝতে পেরে দুজনকে পুলিশে দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
ব্যাংকের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ভেদ করে ভল্ট থেকে টাকা উধাওয়ের ঘটনা তোলপাড় সৃষ্টি করেছে দেশব্যাপী। এ বিষয়ে ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এমরানুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার ব্যাংকের শাখায় আমাদের ইন্টারনাল অডিট হয়। এরপরই টাকার অংকে অসঙ্গতি দেখা যায়। ক্যাশ কম পাওয়ায় আবারও ইনভেস্টিগেশন করা হয়। পৌনে চার কোটি টাকার মত কম ছিল। এরপর দায়িত্বে থাকা ক্যাশ-ইনচার্জের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রাথমিকভাবে ক্যাশ সরিয়ে ফেলার বিষয় স্বীকার করেন। এ কাজটি তিনি একাই করেছেন বলে জানিয়েছেন ক্যাশ-ইনচার্জ রিফাজুল হক। কী জন্য এই টাকা সরিয়েছেন তা এখনও তিনি জানাননি।
এমডি বলেন, পরবর্তীতে আমরা নিয়মানুযায়ী লিগ্যাল প্রসেসে ব্যবস্থা নিয়েছি। যেহেতু দুজন দায়িত্বে ছিলেন তাই ক্যাশ-ইনচার্জ ও ম্যানেজার (অপারেশন) দুজনকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। এখন সংশ্লিষ্ট সংস্থা তদন্ত করে বলতে পারবে কিভাবে ও কী জন্য এ টাকা সরানো হয়েছে।
এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বংশাল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা হবে। পরে মামলাটি দুদকে চলে যাবে এবং আসামিদেরও আমরা দুদকে হস্তান্তর করে দেব। বিষয়টি দুদক তদন্ত করে দেখবে।
কয়েক দিন আগে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ওই ব্যাংকের একজন আইটি অফিসারের ২ কোটি ৫৭ লাখ সরোনোর বিষয়টি সামনে আনে পুলিশ। তিন বছরে ৬৩৭টি অ্যাকাউন্টের ১৩৬৩টি লেনদেনের মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ওই ঘটনাও ব্যাংকের অডিটে ধরা পড়ে। তবে ততদিনে ঘটনার মূল হোতা চলে গেছেন নাগালের বাইরে। ওই ঘটনার রেশ না কাটতেই ঢাকা ব্যাংকে লুটের ঘটনা ঘটল।