পৃথিবীর পাশাপাশি অন্য গ্রহেও প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কি না সে ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সংস্থাটির প্রশাসক বিল নেলসন এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন।

বিল নেলসন বলেন, ‘আমরা যদি ১৩৫০ কোটি বছরের পুরনো ইউনিভার্স পাই এবং সেটি যদি আকৃতিতে বড় হয়, তাহলে সেখানে আমাদের পৃথিবীর মতোই সূর্য এবং প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আমি মনে করছি, এমনটি হতে পারে। সেই কারণে পৃথিবী ছাড়া অন্য গ্রহে বুদ্ধিমান প্রাণীর সন্ধানে আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি।’

সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৫ জুন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার আনআইডেনটিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট বিষয়ক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। কিন্তু সেই প্রতিবেদনে পৃথিবীর বাইরের প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কি না সে ব্যাপারে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি।

বিল নেলসন প্রায়ই বলে আসছেন, পৃথিবী ছাড়া অন্য গ্রহে প্রাণীর সন্ধানে কয়েক বছর ধরে নাসা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে পৃথিবীর বিকল্প কোনো গ্রহে মানুষ থাকতে পারে কি না সে ব্যাপারে প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে ফ্লোরিডার সাবেক এই সিনেটর বলেন, অন্য গ্রহে প্রাণীর সন্ধানের কাজ করার জন্য মঙ্গল গ্রহ নিয়ে বিজ্ঞানীরা ব্যাপক গবেষণা চালাচ্ছেন। সোমবার টুইটারে নাসার পরীক্ষামূলক নভোযান ইনজেনুইটি মঙ্গল গ্রহে নবম বারের মতো অবতরণের ব্যাপারে জানা গেছে। নভোযানটি মঙ্গলের আকাশে ৩ মিনিট পর্যন্ত উড়তে সক্ষম হয়েছে। সে সময় প্রতি সেকেন্ডে এর গতি ছিল ৫ মিটার (১৬ ফুটের বেশি)।

‌‘ঠিক ওই সময়েই ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার মঙ্গল গ্রহের মাটি এবং গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে কি না সে ব্যাপারে পরীক্ষা করে দেখেছে। ইনজেনুইটি নভোযানটি জন্য ভালোভাবে কাজ করছে।’

উল্লেখ্য, ইনজেনুইটি নভোযানের নবম অভিযানটিকে নাসা ‘উত্তেজনাপূর্ণ যাত্রা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।