করোনা মহামারির এই অস্থির সময়ে সাধারণ মানুষকে বাড়ির সামনের মোড়ে বের হওয়ার আগেও হাজারবার ভাবতে হচ্ছে।একে তো লকডাউন চলছে, তার উপর আবার রয়েছে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে চলার চিন্তা।

তবে বলা হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী জনপ্রিয় ইকমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের সাবেক প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস আর ভার্জিন গ্যালাকটিকের মালিক রিচার্ড ব্র্যানসনের কথা। সাধারণ মানুষ এই করোনাকালে বাড়ির সামনের মোড়ের দোকানে যাওয়ার আগে দশবার ভাবলেও এই দু’জন পাড়ি জমাচ্ছেন পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে মহাকাশে।

বিশ্বের এই ক্রান্তিকালে তাদের এই মহাকাশ সফরের সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন বিশ্ব যখন ধুঁকছে, উনারা তখন মহাকাশে পালাচ্ছেন। অনেকে আবার মন্তব্য করেছেন, অ্যামিমেশন সিনেমা ‘ওয়ালি’ তে যেমন বিশ্ব বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে যাওয়ায় অবস্থাপন্নরা যেমন পালিয়েছিলেন, উনারাও কী তেমন পালাচ্ছেন?

বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি জেফ বেজোসের আগেই অবশ্য মহাকাশ পাড়ি দিচ্ছেন ব্রিটিশ ধনকুবের এবং উদ্যোক্তা, মহাকাশযান নির্মাতা কোম্পানি ভার্জিন গ্যালাকটিকের প্রতিষ্ঠতা রিচার্ড ব্র্যানসন।
রিচার্ড ব্র্যানসন ঘোষণা করেছেন, ১১ জুলাই তিনি নিজের প্রতিষ্ঠানের যানে মহাকাশে যাবেন। দিনটি অপর উদ্যোক্তা, ফোর্বস তালিকায় এই মুহূর্তে বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোসের মহাকাশে যাওয়ার তারিখের মাত্র নয় দিন আগে।

অন্যদিকে জুলাইয়ের পাঁচ তারিখে সিইও হিসেবে শেষ কর্মদিবস ছিল জেফ বেজেোসের। ২০ জুলাই ব্লু অরিজিনের প্রথম মানববাহী অভিযানে সওয়ার হবেন বেজোস। ব্লু অরিজিন বলেছে, জেফ-এর ছোট ভাই মার্ক বেজোসও যাত্রাসঙ্গী হবেন যাত্রার।

মহাকাশে অভিযানের ব্যাপারে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস জানান, আমার বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন থেকেই আমি মহাকাশে ভ্রমণের স্বপ্ন দেখেছিলাম। ২০ জুলাই আমি আমার ভাইয়ের সঙ্গে সেই যাত্রা করব। আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধুর সঙ্গে সবচেয়ে বড় অ্যাডভেঞ্চার।

২০ জুলাই একটি ঐতিহাসিক দিন, যেদিন প্রথম মানুষ চাঁদে পা রেখেছিল। এ বছর অ্যাপোলো ১১-এর চাঁদে অবতরণের ৫২তম বার্ষিকী পালিত হবে।

তবে নেটিজেনরা সমালোচনা করলেও এই মহাকাশ ভ্রমণ তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের ফসল। তাদের এই মহাকাশ অভিযানে ঝুঁকিও নেহায়েত কম নয়। রকেটের মোটর কোনো কারণে কাজ নাও করতে পারে, কেবিনের বাতাসের চাপ কমে যেতে পারে পারে বা বায়ুমণ্ডলের বাইরে আঘাত বা অন্য কোনো কারণে কেবিন ছিঁড়ে যেতে পারে।