ক্ষমতা দখলের নয় বছর পর রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন থাইল্যান্ডের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচা। এক বিবৃতিতে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার কথা জানান। তবে নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনিই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত মে মাসের নির্বাচনে রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে প্রয়ুতের দল রুয়াম থাই সাং চার্টের। তার সেনা-সমর্থিত সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছেন বেশিরভাগ থাই ভোটার। এ অবস্থায় নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নির্বাচনের দুদিন আগেই রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে সরে দাঁড়ালেন ৬৯ বছর বয়সী এ নেতা।
বিবৃতিতে প্রায়ুত বলেন, এখন থেকে ইউটিএন পার্টির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের মধ্যদিয়ে আমি রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিদায় নিচ্ছি। পার্লামেন্ট নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগেই ইউটিএন দলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
চলতি বছরের মে মাসে জাতীয় নির্বাচনে প্রায়ুতের দলসহ সেনা-সমর্থিত দলগুলোর ভরাডুবি হয়। বড় ধরনের জয় পায় মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি ও পিউ থাই পার্টি নামে গণতন্ত্রপন্থি দুইটি দল। খুব শিগগিরই পার্লামেন্ট নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে ভোট গ্রহণ হবে। এমন অবস্থায় রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন প্রায়ুত ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান প্রায়ুত । পরে ২০১৯ সালে বিতর্কিত এক নির্বাচনের মধ্যদিয়ে সেনা উর্দি ছেড়ে ‘বেসামরিক’ চেহারায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ক্ষমতা পোক্ত করেন তিনি।