দেশের অর্থনৈতির সার্বিক অবস্থা তুলে ধরতে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বুধবার (২১ শে আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এতে প্রণয়ন কমিটির প্রধান করা হয়েছে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে।

প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি’। এই কমেটি দেশের বিদ্যমান অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র থাকার পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয়ে সরকারের কৌশলগত পদক্ষেপ, জাতিসংঘের টেকসই অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন ও স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে করণীয় ইত্যাদি বিষয়ের প্রতিফলন থাকবে।

এ কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পরামর্শ করে কমিটিতে প্রয়োজনীয় সদস্যদের মনোনীত করবেন। এ কমিটি ৯০ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরি করবে।

প্রস্তাবিত শ্বেতপত্রে প্রধানত ছয়টি বিষয়ে আলোকপাত করার প্রস্তাব রেখেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। সেগুলো হচ্ছে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা, মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা, বাহ্যিক ভারসাম্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, বেসরকারি বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান।

শ্বেতপত্র প্রণয়নের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বিগত সরকারের সার্বিক অব্যবস্থাপনার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্র্বতী সরকার। দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত করতে এ সরকারের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অর্থনীতি পুনরায় সচল করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো নিরসনে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। তাই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারের হাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার একটি সামগ্রিক চিত্র থাকা প্রয়োজন।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা অবৈতনিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিকল্পনা কমিশন কমপ্লেক্সের কোনো একটি ভবনে হবে কমিটির দপ্তর। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ। সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তর প্রস্তাবিত কমিটির চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করবে।