রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। বুধবার সমাবেশস্থল নয়াপল্টন ও বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আজ নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভা করবে বিএনপি। এরই মধ্যে সমাবেশের অস্থায়ী মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। রাজধানী ও বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরাও মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করেছেন।
বুধবার (১২ জুলাই) রাজধানীর পল্টন, কাকরাইল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, মতিঝিল ও গুলিস্তান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে সমাবেশ ছেলে বিএনপির সমর্থকরা আসছেন।
পুলিশ জানায়, এসব কর্মসূচি থেকে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও প্রস্তুতি নিয়েছেন। এছাড়া মতিঝিল ও উত্তরাসহ আশপাশে এলাকায় সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দুষ্কৃতকারী ও সুযোগ সন্ধানীদের বিশৃঙ্খলা-নাশকতার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির তৎপরতা রোধে তাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও নিয়মিত টহল কার্যক্রম চলমান। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাহিনীর স্পেশাল ফোর্স টিম, ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ২৩ শর্তে রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
২৩টি শর্তে সমাবেশের জন্য বিএনপিকে অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় শর্তসহ এই অনুমতি দেওয়া হয়। ডিএমপির কমিশনারের পক্ষে বিশেষ সহকারী সৈয়দ মামুন মোস্তফা সই করা এক লিখিত স্মারকে এই তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির শর্তে বলা হয়, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩টি শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ১২ জুলাই দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে (পুলিশ হাসপাতাল ক্রসিং থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত মধ্যবর্তী স্থানে) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করা হলো।