রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের কাছে রাখাসহ ৩৭টি অভিযোগের মামলার শুনানির সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফ্লোরিডার মিয়ামিতে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে একটি আদালতে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালতে হাজির হওয়ার পর বিচারক ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৭টি অভিযোগ পড়ে শোনান।

এ সময় এই অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন বলে আখ্যা দেয় তার আইনজীবী। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে শুনানি চলে। শুনানি শেষে একটি কিউবান ক্যাফেতে ভক্ত-সমর্থকদের সময় দেন ট্রাম্প।

এরপরই নিউজার্সির উদ্দেশে রওনা হন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে ট্রাম্পের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। অপরাধ মামলায় চলতি বছর দ্বিতীয়বার আদালতের মুখোমুখি হলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের শত শত সরকারি স্পর্শকাতর নথিপত্র যথাযথভাবে না রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব নথির মধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচির গোপন নথি এবং সামরিক পরিকল্পনার কাগজপত্রও রয়েছে।

তার বিরুদ্ধে যে ৩৭টি অভিযোগ আনা হয়েছে, এরমধ্যে রয়েছে, তিনি ফ্লোরিডার বাসভবনে সরকারি গোপন কাগজপত্র রেখেছিলেন। এসব কাগজপত্রের কিছু রাখা হয়েছিল বল রুমে এবং বাথরুমে।

তদন্তকারীদের কাছে মিথ্যা বলা এবং তদন্তে বিঘ্ন তৈরির অভিযোগও আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এসব অভিযোগে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। এসময় তার বিরুদ্ধে আনা ৩৭টি অভিযোগ পড়ে শোনান বিচারক জনাথন গুডম্যান।

আদালতে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে শুনানি চলে। বিচারকের কাছে বলেন, তিনি নির্দোষ। বিচারক জানালেন, ট্রাম্প যেতে পারেন। পরে আদালত থেকে বের হয়ে একটি কিউবান রেস্তরাঁয় প্রবেশ করেন তিনি।

বুধবার (১৪ জুন) ট্রাম্পের জন্মদিন। ৭৭ বছরে পড়লেন তিনি। এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে কিউবান রেস্তরাঁয় যান তিনি। এ সময় উপস্থিত সমর্থকেরা ট্রাম্পকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। তারপর ব্যক্তিগত প্লেনে তিনি মিয়ামি ছাড়েন।