আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা দেখে আওয়ামী লীগেরই কোমর ভেঙে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘বিএনপি হাঁটুভাঙা বলে লাঠির ওপর ভর করেছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত ‘প্রতিবাদী ছাত্র সমাবেশে’ তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির নেতাদের ওপর ছাত্রলীগের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়।

সমাবেশে আরও বলেন, আমাদের যে হাঁটু ভাঙেনি, এটা তো টের পাচ্ছেন। লাঠিও আমরা নেইনি। আওয়ামী লীগের তো ইতিমধ্যে কোমর ভেঙে গেছে। শুধু লাঠি নয়, আপনারা এখন রামদা-তলোয়ার এবং পুলিশের বন্দুকের ওপরে হাঁটছেন। আপনারা জনগণের সঙ্গে নাই, সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। সেজন্য আজকে রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকতে হচ্ছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ব্যানারসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন। এদিন তাদের অনেকের হাতে জাতীয় পতাকা দেখা গেলেও লাঠি হাতে দেখা যায়নি।

সমাবেশে সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো সময় আছে উল্টো-পাল্টা কথা না বলে শান্তিপূর্ণভাবে পদত্যাগ করুন । সেইভ এক্সজিট নিন এবং একটা নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন, সংসদ বিলুপ্ত করুন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই একটি সন্ত্রাসী দল। তাদের জন্ম হয়েছে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে। সেই জন্য একদিকে তারা বলে আমার সোনার ছেলেদের হাতে আমি কলম তুলে দিয়েছি। এই ছাত্রলীগের ছেলেরা তাদের সোনার ছেলে। অন্যদিকে,সোনার ছেলেদের হাতে তারা বন্দুক, পিস্তল, লাঠিসোঁটা সবকিছু তুলে দিয়েছে।

তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে, ইডেন কলেজে নিজেরা মারামারি-চুলাচুলি করে ভয়ঙ্কর ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা নিজেদের কমিটির বিরুদ্ধে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা লাগিয়েছে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, শামসুজ্জামান দুদু, রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ফজলুর রহমান খোকন, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান, রাকিবুল ইসলাম, আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া প্রমুখ।