রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অ্যালায়েন্স (ন্যাটো) কোনো সৈন্য পাঠাবে না বলে জানিয়েছে জার্মানি। জার্মানি বলছে, তারা এই এই যুদ্ধ থামাতে চাচ্ছে। শনিবার জার্মানভিত্তিক সাময়িকী ডের স্পিগেলের তারুণ্য সংস্করণ ডেইন স্পিগেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ন্যাটোর জার্মান প্রতিনিধি রুডিগের কোয়েনিগ।

কোয়েনিগ বলেন, ‘ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। যদি ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হতো, সেক্ষেত্রে জোটের সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকতো। আরও একটি ব্যাপার হলো, ইউক্রেন যদি ন্যাটোর সরাসরি সদস্য হতো তাহলেও এই যুদ্ধে জোট সরাসরি অংশ নিত কি না সন্দেহ। কারণ নীতিগতভাবে আমরা সবাই এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করার পরিবর্তে এটি থামাতে চাইছি।

তিনি আরো বলেন, এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে সরাসরি সহায়তা করতে ন্যাটো বাধ্য নয়; বরং ন্যাটো এখন এই যুদ্ধ এড়িয়ে চলতে চায়। রাশিয়ার পারমাণবিক হামলার হুমকির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাশিয়া যদি সত্যিই এ ধরনের (পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার) পদক্ষেপ নেয়, সেটি খুবই অবিবেচনাপ্রসূত পদক্ষেপ হবে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। অভিযানের গত আট মাসে খেরসন, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক ও ঝাপোরিজঝিয়াসহ ইউক্রেনের বেশ কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী। তারপর ৩০শে সেপ্টেম্বর মস্কোতে এই চার প্রদেশকে রাশিয়ার প্রদেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন পুতিন। সোমবার রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমাতেও জনপ্রতিনিধিরা ভোটের মাধ্যমে এই চার প্রদেশের রুশ ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন দেন।

ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জরুরিভিত্তিতে ইউক্রেনকে সদস্য করে নিতে ন্যাটোতে আবেদনও জমা দিয়েছেন তিনি। কিন্তুন্যাটোর ৩০ সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে মাত্র ৯টি ইউক্রেনকে জোটের সদস্যপদ দেওয়ার পক্ষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।