কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের এক আবাসিক ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। আজ (সোমবার) সকালে ইবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মনিরুজ্জামান মিল্টন তদন্ত প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে জমা দেন।

এর আগে রোববার (২৬শে ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার দপ্তর বরাবর প্রতিবেদন পাঠায় আদালতের আদেশে গঠিত তদন্ত কমিটি।

প্রতিবেদন জমা শেষে তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ‘আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না।’

আদালতে এ বিষয়ে দায়ের করা রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গাজী মো. মোহসীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে একটি কক্ষে আটকে রেখে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রীকে (ভিকটিম) নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া তদন্ত চলাকালে নির্যাতনকারী দুই নেত্রী, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগী তাবাসসুমকে ক্যাম্পাসের বাইরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ওই দিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আজগর হোসেন তুহিন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে একটি কক্ষে আটকে রেখে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। একই সঙ্গে রিটে জড়িতদের হাইকোর্টে তলব করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। ভিডিও অপসারণের নির্দেশনাও চাওয়া হয় রিটে।