রংপুরের কাউনিয়ায় মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদকারী বাবা আবুল বাশারতকে কুপিয়ে হত্যা করার মামলায় দুই আসামিকে ফাঁসি দিয়েছে আদালত। রায়ে দুই আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক তারিক হোসেন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় সাজা পাওয়া আসামি নুর আমিন ও তার ছেলে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এজাহারে  জানা যায়, কাউনিয়া উপজেলার জিগাবাড়ি গ্রামের বাবা আবুল বাশারতের মেয়েকে পাশের বিশ্বনাথপুর গ্রামের মাহবুর ইসলাম স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি আবুল বাশারত ছেলের বাবা নুর আমিনকে জানান। কিন্তু এতে কোনো কাজ হয়নি। উল্টো তিনি হত্যার হুমকি পান।

২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর আবুল বাশারতের ওপর হামলা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় আবুল বাশারতের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে মাহবুর ইসলাম, তার বাবা নুর আমিনসহ সাতজনের নামে কাউনিয়া থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

মামলায় ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে নুর আমিন ও তার ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক। সেই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই আসামি মাইদুল ও মাহফুজার রহমানকে খালাস দেয়া হয়েছে।

আইনজীবী টফি জানান, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাদীপক্ষ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী রশীদ চৌধুরী জানান, তারা ন্যায্য বিচার পাননি। এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।