সরাইলের অব্যাহত হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪৩ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় প্রায় ১১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের স্থল, নৌ ও আকাশ পথের এই হামলায় প্রতিনিয়তই বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণ ঝরছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় স্থল অভিযানে আরও দুই ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের স্থল, নৌ ও আকাশ পথের হামলায় প্রতিনিয়তই ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণ ঝরছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৩ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া এই সময়ে গাজায় স্থল অভিযানে দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা সিটির ভেতরে হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। যে এলাকায় এ সংঘাত চলছে তার খুব কাছেই আল-কুদস হাসপাতাল অবস্থিত। গত ৭ অক্টোবর গাজায় বোমা হামলা শুরুর পর আল-কুদস হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আশ্রয় নেন হাজার হাজার মানুষ। বর্তমানে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটিকে ঘিরে রেখেছে।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনের গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে দৈনিক চার ঘণ্টার যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরায়েল।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি শুরুর তিন ঘণ্টা আগে এই বিষয়ে প্রত্যেক দিন ঘোষণা দেওয়া হবে। ইসরায়েলি সেনাদপ্তর থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, বিরতির সময় গাজার উত্তরাঞ্চলে কোনো সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে না এবং এই প্রক্রিয়াটি ৯ নভেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজায় বোমা হামলা শুরুর পর আল-কুদস হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আশ্রয় নেন হাজার হাজার মানুষ। এরপরও ওই হাসপাতালের আশপাশে বিমান হামলা অব্যাহত রাখে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী । বর্তমানে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটিকে ঘিরে রেখেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, গাজা সিটিতে হামাসের শক্ত অবস্থানগুলোতে যে কোনো সময় স্থল হামলা চালাবে ইসরাইলি বাহিনী।