সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজের শেষ ম্যাচে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলদেশ। এই হারে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারলো টাইগাররা। বৃষ্টির কারণে চতুর্থ দিনের খেলা বিলম্বে শুরু হয়। ম্যাচ মাঠে গড়ায় চা-বিরতির পর। তবে, ৪২ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ বেশি দূর যেতে পারেনি। অল আউট হয় ১৮৬ রানে। শেষ সেশনে কেবল সোহানের ফিফটিতে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জা এড়ায় বাংলাদেশ।
ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের দলের বিপক্ষে এ নিয়ে শেষ ৪ দেখায় টানা ৪ পরাজয় বাংলাদেশের, সব মিলিয়ে ২০ টেস্টে এটি ১৪তম পরাজয়। এই হারের মধ্য দিয়ে পরাজয়ের এক মাইলফলক স্পর্শ করল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ২২ বছরে ১৩৪টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে সাদা পোশাকে হারের সেঞ্চুরি পূর্ণ করল তারা। যেখানে ১০০ হারের বিপরীতে টাইগারদের জয় ১৬টি ও ড্র আছে ১৮টি।
লিটস দাসের অর্ধশতকের (৫৩) পরেও প্রথম ইনিংসে স্কোর বোর্ডে ২৩৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ দল। পরে উইন্ডিজের প্রথম ইনিংস থামে ৪০৮ রানে। দলটির হয়ে অনবদ্য ব্যাটিংয়ে একাই ১৪৬ রানের ইনিংস খেলেন কাইল মায়ার্স। এতে ১৭৪ রানের লিড পায় ক্যারিবিয়রা। এই রান শোধ করে স্বাগতিকদের বড় রানের লক্ষ্য দিতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। শঙ্কা জাগে ইনিংস হারের।
তবে নুরুল সোহানের আগ্রাসী ফিফটিতে (৫০ বলে ৬০*) সেই শঙ্কা উড়িয়ে সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ১৮৬ রানে। এতে ১২ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়দের সামনে ১৩ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। টার্গেট টপকাতে নেমে একেবারে বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের। মাত্র ১৭ বলে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয় তুলে নেয় তারা। জন ক্যাম্পবেল ১১ বলে ৯ এবং অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট ৬ বলে ৪ রানে অপরাজি থাকেন।
ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে এ হার টেস্টে বাংলাদেশ দলের শততম। মাত্র ১৩৪ ম্যাচেই পরাজের সেঞ্চুরির স্বাদ পেল বাংলাদেশ দল। এর আগে কোনো দলই এতো কম ম্যাচ খেলে এমন রেকর্ডের সঙ্গী হয়নি। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ফেরা সিরিজের শেষ ম্যাচে পরাজয়ের মধ্যে প্রাপ্তি খুঁজলে প্রথম ইনিংসে পেসার খালেদ আহমেদের ৫ উইকেট আর দ্বিতীয় ইনিংসে সোহানের ব্যাটিং।