জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের (১৪ই জুলাই) তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।

এ উপলক্ষে জাতীয় পার্টির কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ সকাল ৮টায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। এছাড়া দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জাতীয় পার্টি। এতে জাতীয় পার্টির মহাসচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

টানা ৯ বছর দেশ শাসন করা এরশাদের জন্ম ১৯৩০ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি, বর্তমান ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটায়। ১৯৪৬ সালে দিনহাটা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করে তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হন। এ সময় তিনি কারমাইকেল কলেজ ছাত্রসংসদের সাহিত্য সম্পাদক নির্বাচিত হন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এরশাদ। ১৯৭৮ সালের পহেলা ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ এরশাদ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের পদ গ্রহণ করে দেশে সামরিক শাসন জারি করেন এবং দেশের সংবিধান স্থগিত করেন।

পরে ১৯৮৬ সালের পহেলা জানুয়ারি ‘জাতীয় পার্টি’ নামের রাজনৈতিক সংগঠন গঠন করে তিনি পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং সেনা পোশাক ছেড়ে রাজনীতির কাতারে শামিল হন। ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর এরশাদ গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে ১৯৯১ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কারাগারে থেকেই তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তি পান ছয় বছর পর ১৯৯৭ সালে।

২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দল জাতীয় পার্টি ১৪টি আসনে জয়ী হয়। ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে মহাজোট গঠন করেন তিনি। ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে তার দল ২৭টি আসনে জয়ী হয়।

এরপর দশম ও চলতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। চলতি একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালনের মধ্যেই অসুস্থ হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সিএমএইচে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন এবং সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।