এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে খেলবে না ভারতীয় দল। এ নিয়ে অনেক নাটকের পর সমাধান আসে ‘হাইব্রিড মডেলে’। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ আয়োজনের অনুমোদন গত জুনে দিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।

এশিয়া কাপের খসড়া একটি সূচি প্রকাশ করেছে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো। যেখানে নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই (৩০ আগস্ট) টুর্নামেন্টটি শুরুর কথা বলা হয়েছে। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরটি আগামী ৩১ আগস্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ক্রিকইনফো প্রকাশিত সূচিতে ফাইনালের দিনক্ষণে পরিবর্তন আসেনি।

বুধবার (১৯ জুলাই) ‘ক্রিকইনফো’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী ৩১ আগস্ট থেকে এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও একদিন এগিয়ে ৩০ আগস্ট করা হয়েছে। এ দিকে টুর্নামেন্ট শুরুর তারিখ পরিবর্তন হলেও ফাইনাল ম্যাচের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বরেই রাখা হয়েছে। খেলাগুলো পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের এশিয়া কাপে দুটি গ্রুপে মোট ৬টি দল খেলবে। ‘এ’ গ্রুপে ভারত, পাকিস্তান ও নেপাল রয়েছে। আর ‘বি’ গ্রুপে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ৩ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। এশিয়া কাপের সব ম্যাচ বাংলাদেশ সময় বেলা ২টায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এবারের এশিয়া কাপ এককভাবে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে দেশটিতে ভ্রমণ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় ভারত। এরপরে দুদেশের মধ্যে কথা চালাচালি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত গত জুন মাসে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এই দ্বন্দ্বের সমাধান টেনে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ আয়োজনের অনুমোদন দেয়।

প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৩ ম্যাচের ৪টি হবে পাকিস্তানে এবং বাকি ৯টি হবে শ্রীলঙ্কায়। যেখানে ভারতের কোনো ম্যাচ পাকিস্তানে রাখা হয়নি। এ দিকে পাকিস্তানে হওয়া ৪ ম্যাচ লাহোরে আয়োজনের কথা ছিল। তবে পিসিবির নতুন চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ সর্বশেষ খসড়া সূচিতে দ্বিতীয় ভেন্যু হিসেবে মুলতানের নাম যুক্ত করেছেন। যেখানে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।