করোনা ভাইরাসের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাবের কারণে বিশ্বব্যাপী ৬৪টি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে গেছে। অতিমারীর সময়ে বিভিন্ন দেশের এয়ারপোর্টে জারি করা বিধি নিষেধের জেরে আয় কমে যায় এয়ারলাইন্সগুলোর। কয়েকটি বিমান সংস্থার তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে বার্তাসংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, সম্ভাবনা থাকলেও বৈশ্বিক মন্দা ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পরিবহন ব্যবসার এই খাত।

২০২০ ও ২০২১ সাল ছিলো মানব সভ্যতার জন্য সংকটময় সময়। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সেসময় ধস নামে শিক্ষা, বাণিজ্যসহ নানান খাতে। অন্যান্য অনেক খাতের মতো করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে উড়োজাহাজ পরিষেবাতেও। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনার প্রভাবে বন্ধ হয়েছে গেছে ৬৪টি এয়ারলাইন্স।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনার বিস্তার ঠেকাতে সেসময় বিশ্বের অধিকাংশ বিমানবন্দরে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। যার ফলে আয় কমে যায় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর। করোনার সমাপ্তিতে চলতি বছরে বিমান পরিষেবা ও পর্যটন খাত আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্সের দেয়া তথ্যমতে, সা¤প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দা, রাজনৈতিক সহিংসতাসহ নানাবিধ কারণে উড়োজাহাজ পরিষেবায় আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বুকিং কোম্পানি ফ্লাইট সেন্টার জানিয়েছে, চলতি বছরে ভাড়া বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। যার কারণে ২২ শতাংশ বুকিং কমে গেছে।

এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এয়ারলাইন্সগুলো। ২০১৯ সালের তুলনায় এই অঞ্চলের টিকেট বুকিং ৪৬ শতাংশ কমে গেছে।

এই পরিস্থিতিতে দেউলিয়া হয়ে গেছে অনেক এয়ারলাইন্স। এদের মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে আলিতালিয়া, এয়ার নামিবিয়ার মতো এয়ার লাইন্সগুলো।কিছু প্রতিষ্ঠান  নাম পরিবর্তন করে আবারও বাজারে এসেছে।