বিশ্বে গতদিনে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২১ হাজার ৮ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জনের। এছাড়া এদিন এই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৭৫ হাজার ১৫৫ জন।
শুক্রবার কোভিডজনিত অসুস্থতায় সবেছে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ-মৃত্যুতে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে এই দিন কোভিডজনিত অসুস্থতায় ভুগে মারা গেছেন ২১১ জন; সেই সঙ্গে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ১ জন।
অন্যদিকে দৈনিক সংক্রমণে শুক্রবার বিশ্বে শীর্ষে ছিল জার্মানি। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, এ দিন করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৯১ হাজার ৫০৮ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে ১৬০ জনের।
যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি ব্যতীত আরও যেসব দেশে সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব হলো— ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ৫৮ হাজার ৬৯৫ জন, মৃত ৭৯ জন), ইতালি (মৃত ৯৮ জন, নতুন আক্রান্ত ৪০ হাজার ৫৭৬ জন), রাশিয়া (মৃত ৯৯ জন, নতুন আক্রান্ত ১৪ হাজার ৭৩৬ জন), তাইওয়ান (মৃত ৮০ জন, নতুন আক্রান্ত ৪৮ হাজার ২৬৭ জন), এবং জাপান (নতুন আক্রান্ত ৩৬ হাজার ৬০৫, মৃত ৬৮ জন)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৪৪ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৩ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৪৩ লাখ ৭৭ হাজার ০৫৭ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন ৩৮ হাজার ৩২৬ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬২ কোটি ৯৩ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬৭ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪৪ জনের।
এছাড়া গত আড়াই বছরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৬০ কোটি ৮৪ লাখ ১০ হাজার ৩৪০ জন।