দেশের স্বনামখ্যাত কবি ও বাচিক শিল্পী একুশে পদকপ্রাপ্ত আসাদ চৌধুরীকে কানাডায় সমাহিত করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার টরন্টোর একটি মসজিদে কবির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কবির কফিনে শ্রদ্ধা জানায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাঁর প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানান কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার। পারিবারিক সিদ্ধান্তেই কবি আসাদ চৌধুরীকে কানাডায় দাফন করা হয়।

স্থানীয় সময় শুক্রবার জুমার নামাজের পর কানাডার অন্টারিও’র টরন্টো শহরের নাগেট মসজিদে কবি আসাদ চৌধুরীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁর মরদেহ প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর জন্য রাখা হয়।

জানাজায় অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশি সংস্কৃতিকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, কানাডায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার খলিলুর রহমান ও কবির পরিবারের সদস্যসহ অনেক শুভাকাঙ্খী। জানাজা শেষে  জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কবির কফিনে শ্রদ্ধা ও রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানানো হয়।

কয়েক বছর ধরে স্ব-পরিবারে কানাডায় বাস করছিলেন আসাদ চৌধুরী। পরিবারের সিদ্ধান্তেই কানাডায় তাকে দাফন করা হয়।

জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আসাদ চৌধুরীর কফিন নিয়ে যাওয়া হয় অন্টারিও’র পিকারিং ডাফিন মেডোজ কবরস্থানে। সেখানেই চিরনিদ্রাায় শায়িত করা হয় কবি আসাদ চৌধুরীকে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে কানাডার টরন্টোর একটি হাসপাতালে ৮০ বছর বয়সে মারা যান কবি আসাদ চৌধুরী। সাহিত্যে অবদানের জন্য একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত এই কবি দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন।