দীর্ঘ ৫ বছরেরও বেশি সময় পর বড় কোনো আয়োজনে যোগ দিতে খুলনায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী সোমবার তিনি খুলনা নগরের সার্কিট হাউজ মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। এদিন তিনি ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে খুলনা পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। জনসভা সফল করতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো।
নগরীর প্রতিটি সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে দুই শতাধিক তোরণ মোড়ে মোড়ে শোভা পাচ্ছে রং বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন। প্রধানমন্ত্রী আগমন ঘিরে উচ্চশিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্ততি নিয়েছে প্রশাসন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ। চলছে মাইকিং, পোস্টারিং, প্ল্যাকার্ড, বিলবোর্ড, তোরণ নির্মাণ, আলোকসজ্জা, প্রচার মিছিল। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে গোটা খুলনা নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়ার প্রস্ততি নিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম,ডি এ, বাবুল রানা যায়যায়দিনকে বলেন, ইতোমধ্যে দফায় দফায় দল ও সহযোগী সংগঠনগুলো প্রস্তুতি সভা করেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা একাধিকবার এসে প্রস্তুতি দেখে গেছেন। প্রতিদিন শহরে প্রচার মিছিল করছেন নেতাকর্মীরা। নগরীজুড়ে দিনরাত চলছে মাইকিং, লাগানো হয়েছে পোস্টার, বিলবোর্ড, প্ল্যাকার্ড। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোতে রাতে আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে দুই শতাধিক তোরণ। সার্কিট হাউস মাঠের আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রান্তে তৈরি করা হচ্ছে নিচে নৌকা ও ওপরে পদ্মা সেতুর আদলে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থের মঞ্চ। এতে অন্তত ৪০০ জন অতিথি বসতে পারবেন। মঞ্চের উচ্চতা সাড়ে ১৩ ফুট।
মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক জানান, সমাবেশের দিন সার্কিট হাউস মাঠে থাকবেন নারী কর্মীরা। পুরুষ নেতাকর্মীরা থাকবেন মাঠের চারপাশের সড়কগুলোতে। মাঠ ছাড়াও নগরীর কাস্টমস ঘাট থেকে শিববাড়ি মোড়, জেলখানা ঘাট, সদর থানার মোড়, হাদিস পার্ক ও হাজী মুহসীন রোডে মাইক দেওয়া হবে। শিববাড়ি মোড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে এলইডি মনিটরে দেখানো হবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ।
জনসভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ওই দিন নগরীর রাজপথে নেতাকর্মীর ঢল নামবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে নগর পুলিশ। কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হক যায়যাযদিনকে বলেন, জনসভাস্থলে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করবে। সার্কিট হাউস মাঠ ও আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গোটা নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে। জনসভাস্থলে আসা এবং জনসভা শেষে যাতে লোকজন নির্বিঘ্নে ফিরে যেতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।