পুলিশ, প্রশাসন সবকিছুকে ব্যবহার করে সরকার আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়। এবার আর তা হবেনা বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ (রোববার) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারেক রহমান ও তার সহর্ধমিনী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সাজার প্রতিবাদে আয়োজিত পেশাজীবী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আগের মতোই জোর করে, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এখনই গুলি করতে শুরু করেছে। এখনই রাতে বাড়িতে থাকতে দেয় না। মিথ্যা মামলার ওয়ারেন্ট নিয়ে হাজির হয়।’
তিনি বলেন, আপনারা (প্রশাসন) সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন। দেশ ও জনগণের পক্ষে থাকুন। অন্যায় আদেশ মানবেন না। নিপীড়িত জনগণের পাশে থাকুন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গুম, খুন ও হয়রানি করে মানুষের আকাঙ্ক্ষা স্তব্ধ করা যাবে না। এটি আমাদের অন্তর্গত শক্তি। এক সময় যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। এখন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দুইবার নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে হাস্যকর অবস্থায় ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা আবারও আগের মতো নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। সেজন্যই ডিসি-এসপি রদবদল, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, অবশ্যই এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তারা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। মানুষ এখন জেগে উঠেছে। তারা তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে কেউ নিরাপদ নয়। গত কয়েক বছরে ৫৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। বহু সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গুলি করা হচ্ছে, হাতুড়ি দিয়ে হাত পা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।